বিনোদন ডেস্ক : যৌ.শিক্ষা বা জীবনশৈলীর পাঠ বয়ঃসন্ধির সব কিশোর-কিশোরীর জন্যই জরুরি। তবে সবাই তো আর এ জাতীয় বইপত্র হাতে পায় না। পাঠ্যক্রমে বিষয়টিকে রাখার উদ্যোগ না নিলে জীবনের এক বড় বাস্তব অধরা থেকে যায়।
এমনটা নিজের মেয়ের ক্ষেত্রেও হোক, চাননি বলিউড সুপারস্টার আমির খানের প্রথম স্ত্রী রীনা দত্ত। তাই মেয়ের হাতে নিজেই তুলে দিয়েছিলেন যৌ.শিক্ষার বই। বয়ঃসন্ধি উতরে যায় ইরারও। পরবর্তীতে মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আমির-কন্যা।
বই পড়ে কী শিখেছিলেন ইরা? নিজেই সে কথা ফলাও করে জানান সবাইকে। সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, আমি মনে করি না যে আমি আগে কখনও নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে দেখেছি। আমার মা যখন বয়ঃসন্ধির সময় আমাকে যৌ.শিক্ষার একটি বই দিয়েছিলেন, সেটা পড়তে পড়তে আমি আয়নায় নিজেকে দেখি। অবাকও হই। সেই প্রথম খেয়াল করলাম, আমার শরীরও অনেক বদলে গেছে। বুঝলাম অনেক দূর যেতে হবে।’
ইরার দাবি, কৌতূহলী হওয়া ভালো। কৌতূহল না থাকলে এগোনো যায় না। নিজেকে আবিষ্কার করেন সে ভাবেই।
সামাজিক মাধ্যমে ইরা বরাবরই সক্রিয়। বিভিন্ন সময়ে নিজের উপলব্ধি অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেন। আগে জানিয়েছিলেন, ১৪ বছর বয়সে যৌ. নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন তিনি। কিছুতেই সেই বিভীষিকা ছেড়ে বেরোতে পারতেন না।
তবে পাশে ছিলেন বাবা আমির এবং মা রীনা। তারাই ইরাকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে যান। ইরা আরও বলেন, ‘বাবা-মাকে সবার আগে জানাই। ওরা পাশে না থাকলে আমার কী হতো জানি না। তবে এক বছর লেগেছে নিশ্চিত হতে, যে বাবা-মা আছে আমার কাছে।’
নিজের মনের মতো পেশা যেমন বেছেছেন, মনের মানুষের সঙ্গে বিয়েও সেরে ফেলেছেন ইরা। সংগীত নিয়ে পড়েছেন। তার পরিচালিত সিনেমা বিশ্বের বহু জায়গায় প্রদর্শিত হয়েছে। জীবনে এসেছেন প্রেমিক নূপুর শিখরে। সম্প্রতি তাকেই বিয়ে করেছেন।
যদিও রীনা আর আমিরের বিচ্ছেদ হয়েছে বহু বছর আগে। দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণ রাওয়ের সঙ্গেও বিচ্ছেদ হয়ে গেছে আমির খানের। তবু পরিবার অখণ্ড। দুই মায়ের ভালোবাসায় ইরার কিছু কম পড়েনি। আপাতত তিনি আছেন স্বামী নূপুরের সংসারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।