জুমবাংলা ডেস্ক : আত্মগোপনে থাকা নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আক্তার জাহান ১৪ দিন পর অত্যন্ত গোপনে এলেন পৌরসভায়। কিন্তু চেয়ারে বসার ২০ মিনিট পর হয়ে গেলেন লাপাত্তা।
তারপর তাকে আর পৌরসভায় পাওয়া যায়নি। কাউকে কিছু না জানিয়ে আবারও চলে গেলেন আত্মগোপনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে পৌরসভায় আসেন মেয়র রাফিকা জাহান। এরপর যথারীতি ২০ মিনিটের মতো ছিলেন নিজের চেম্বারে। এরপর হঠাৎ কাউকে কিছু না বলে কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে বেরিয়ে যান তিনি। কোথায় গেলেন কেউ জানে না।
সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ পৌরসভায় আসছে এমন খবর শুনে আবারও আত্মগোপনে চলে গেছেন মেয়র রাফিকা।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী রাফায়েতুজ্জুমান, শাকিল আহমেদসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানান, হ্যাঁ, আমরা শিক্ষার্থীরা গিয়েছিলাম ওনার সাথে কথা বলতে। কারণ, আমরা একটি সুন্দর সৈয়দপুরের স্বপ্ন দেখি। অথচ ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে মেয়রের বিরুদ্ধে। জনগণ তার ওপর বেশ ক্ষুব্ধ। আমরা শুধু কীভাবে শান্তির শহর সৈয়দপুরকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যায় সে বিষয়ে ওনার সাথে দেখা করতে এবং কথা বলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের আসার আগেই তিনি চলে গেছেন। তবে দু-একদিনের মধ্যে তিনি আমাদের সাথে বসবেন বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের সঙ্গে মোবাইলফোনে কথা হলে তিনি জানান, আজকে অফিস করেছি কিন্তু কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য চলে এসেছি। তবে এবার থেকে নিয়মিত অফিস করবো।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার পতনের পর সৈয়দপুরে মেয়র ও সৈয়দপুর উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি রাফিকা আকতার জাহানের বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে। অনেক কিছু লুট হয়ে যায় বাসা থেকে। গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়। কোনোকিছু বের করতে পারেননি তিনি।
এসব কারণে তিনি এখনো মানসিকভাবে অসুস্থ ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিধায় নিয়মিত পৌরসভায় আসতে পারছেন না বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।