ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রপ্রার্থী ও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্টে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘কোর্টের মারপ্যাঁচে এবং সরকারি সিদ্ধান্তে মেয়াদ শেষ হবার পরও মেয়র হতে না পেরে ইশরাক ভাইও কায়কোবাদ সাহেবের সাথে জোট বেঁধে তার দখলকৃত টিভি দিয়ে এসব প্রোপাগান্ডা ছড়ানোতে নেমেছে। সেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলার এক আসামিকে নিয়ে এসে ভিকটিম হিসেবে উত্থাপন করা হচ্ছে, সেলুকাস।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ভাই শাহ জুন্নুন বুশরী। এমনকি এই ঘটনা ঘটার পর তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা যায়। সেখানেও আমার নাম জড়ানো হলো। অথচ গত তিন মাস ধরে আমি বা আমার পরিবারের কেউ এলাকায়ই যায় না। ভিকটিম প্রথমদিকের কোনো সাক্ষাৎকারে (আর্কাইভ আছে) আমাদের কথা বলেনি। কায়কোবাদ সাহেবের লোকেরা তাকে কনভিন্স করে একমাস পর এসব বলাচ্ছে।’
নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়েও হতাশা প্রকাশ করে আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘এই মাফিয়া, সন্ত্রাসী এস্টাবলিশমেন্টের কাছে আমরা অসহায়। মুরাদনগরে আমি এমপি ইলেকশন করতে পারি এই এক অজানা ভয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কায়কোবাদ পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়িত এলাকার মানুষকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি দিতে চেয়েছি। এলাকা থেকে এমপি হবার কোনো খায়েশ নেই আমার। নিজের সক্ষমতার মধ্যে শুধু মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি, তাও করা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না৷ মাফিয়াদের জয়জয়কারই চলুক। কিন্তু তা করতে গিয়ে একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান (যার না আছে এস্টাবলিশমেন্টের ব্যাকআপ, না আছে ফাইনানশিয়াল ব্যাকআপ) মহা ক্ষমতাশালীদের শত্রু বানিয়েছি।’
মিডিয়া প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘মিডিয়া দখলে থাকলে কি না করা যায়? থানা ভাঙচুর করা, জুলাইয়ের হত্যার আসামিরা, মার্ডার করে উল্লাসকারীরা এখন ভিকটিম আর আসিফ মাহমুদ ভিলেন।’
পোস্টের নিচে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাভিশন চালায় বিএনপির ইশরাক ভাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই চ্যানেল পেশাদারিত্ব বজায় না রেখে এখন ব্যক্তিগত ও দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন শুরু করেছে।’
https://inews.zoombangla.com/mobile-keyboard-ae/
তিনি হুঁশিয়ার করে লেখেন, ‘২৪ এর অভ্যুত্থানের পূর্বে সময়, ৭১—এসব চ্যানেল যে ভূমিকায় ছিল, বাংলাভিশন যদি ২৪ পরবর্তী সময়ে একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় তবে আগের মতো সুবিধা করার সুযোগ থাকবে না। সাধারণ জনগণ এসব বাটপার টিভি চ্যানেলকে বয়কট করবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।