স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বরেকর্ড এবং অলিম্পিক রেকর্ডধারীর লড়াই, প্যারিসের লা ডাফসা অ্যারেনায় নারীদের ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক ইভেন্টের সেই লড়াই বাড়তি রোমাঞ্চ ছড়াবে, জানাই ছিল। নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার পন করেই যে পুলে নেমেছিলেন বিশ্বরেকর্ডধারী রেগান স্মিথ আর অলিম্পিক রেকর্ডধারী কাইলি ম্যাককিওন। দুই তারকা সাঁতরেছেন পাশাপাশি লেনে। লড়াইটা তাই হয়ে উঠেছিল আরও বেশি আকর্ষণীয়। সেই লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছেন ম্যাককিওন। নিজের রেকর্ড নতুন করে লিখে স্বর্ণ জিতেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান।
গত জুনে ৫৭.১৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন রেগান। স্বাভাবিকভাবেই তাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা ছিল বেশি। লড়াই করেছেন এই সাঁতারু। কিন্তু পেরে ওঠেননি ম্যাককিওনের সঙ্গে। আসলে প্যারিসের নীল জলে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি তিনি। সে কারণেই মেটাতে পারেননি প্রত্যাশা। শুরুটা অবশ্য বেশ ভালো ছিল। দারুণভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন দুজন। মাঝে ঝলক দেখিয়েছিলেন কাইলি মেস। কিন্তু শেষতক গতি ধরে রাখতে পারেননি। যে কারণে চতুর্থ হয়ে পদকহীন থাকতে হয়েছেন কানাডিয়ান তরুণীকে। তাই ম্যাককিওনরা যখন পদক জয়ের উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছিলেন, তখন হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন তিনি।
২০২১ সালে টোকিও অলিম্পিকেও স্বর্ণ জিতেছিলেন ম্যাককিওন। সেবারও রেকর্ড গড়েছিলেন। প্যারিসে সেই রেকর্ডটাই তিনি লিখেছেন নতুন করে। গতবার ৫৭.৪৭ সেকেন্ড সময় নেওয়া অস্ট্রেলিয়ান সাঁতারু এবার নিয়েছেন ৫৭.৩৩ সেকেন্ড। বিশ্বরেকর্ডধারী মার্কিন সাঁতারু রিগান সময় নিয়েছেন ৫৭.৬৬ সেকেন্ড, পেয়েছেন রৌপ্য। ব্রোঞ্জ পেয়েছেন তারই সতীর্থ ক্যাথারিন বারকফ। তিনি সময় নিয়েছেন ৫৭.৯৮ সেকেন্ড। তাদের পেছনে ফেলে অলিম্পিকে নিজের চতুর্থ স্বর্ণপদক জিতেছেন ২৩ বছর বয়সি ম্যাককিওন, এর তিনটিই ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে। তাতে সতীর্থ আরিয়ার্ন টিটমাস, ইয়ান থর্প এবং ডন ফ্রেজারের পাশে বসেছেন তিনি। তারাও তিনটি করে স্বর্ণ জিতেছেন ব্যক্তিগত ইভেন্টে।
প্যারিসে গিয়ে ইতিহাসের অংশ হতে পেরে উচ্ছ্বসিত ম্যাককিওন। অস্ট্রেলিয়ান তরুণী বলেছেন, ‘দারুণ এক অনুভূতি হচ্ছে। ইতিহাসের অংশ হতে পারা দারুণ ব্যাপার। আশা করি সপ্তাহের বাকি অংশে এই ছন্দ টেনে নিয়ে যেতে পারব।’ প্রতিপক্ষ প্রবল হওয়ায় এই ইভেন্টে সাফল্য পাওয়া নিয়ে সংশয়ে ছিলেন ম্যাককিওন। শেষতক নিজেকে ছাপিয়ে যেতে পেরে আনন্দিত তিনি, ‘নিজের ওপর কোনো প্রত্যাশা রাখিনি। আমি শুধু সেখানে গিয়ে উপভোগ করতে চেয়েছি।’
লড়াইটা যে হাড্ডাহাড্ডি হবে, সেটিও জানতেন ম্যাককিওন, ‘আমি জানতাম লড়াইটা শেষ পাঁচ মিটারে নেমে আসবে। আমরা দুজনই খুব ভালো অ্যাথলেট এবং দুজনেই খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সুতরাং বিষয়টা ছিল নির্দিষ্ট দিনে ভালো করার ওপর। সে পুরোটা সময় আমাকে ছুটতে বাধ্য করেছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।