বিনোদন ডেস্ক : ভালোবেসে নির্মাতা মুরাদ পারভেজকে ২০০৯ সালে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। কিন্তু দাম্পত্য জীবনের মাত্র ছয় বছরের ব্যবধানে ২০১৫ সালে বিচ্ছেদ হয় তাদের। তার পর গত ৮ বছর ধরে একাকী জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। সঙ্গী হিসেবে কাউকে কখনো প্রয়োজন মনে করেননি বলেই নতুন কোনো সম্পর্কে জড়াননি এ অভিনেত্রী।
স্বাভাবিকভাবে বিয়ে ও বিচ্ছেদ প্রতিটি মানুষের কাছে স্মরণীয়। অভিনেত্রী সাবার কাছেও তাই। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিয়েবিচ্ছেদের ৮ বছর পূর্ণ হয়েছে তার। দিনটির কথা মনে করেছেন তিনি। আর তা একটু ব্যতিক্রমভাবে উপস্থাপন করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বিচ্ছেদের পরের আট বছরের জীবনকে স্বাধীনতার বছর বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন― মিডিয়ায় কাজ করা মানুষদের সংসার টিকে না।
সাবা ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘মিডিয়ায় কাজ করা মানুষদের সংসার টিকে না। এই কথা শুনে শুনে কান পচে যাওয়ার কারণেই প্রায় ১০ বছর দাঁত চেপে পড়েছিলাম। ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত পৌনে ১২টায় একা একটা রিকশা নিয়ে পুরান ঢাকায় খালামণির বাসায় যখন যাচ্ছিলাম, তখন বাসায় আবার অত্যাচারিত হওয়ার চেয়ে রাস্তায় অজানা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটে যাওয়ার ভয়কে তুচ্ছ মনে হচ্ছিল।
অথচ ভেবেছিলাম বড় করে এক দশক সেলিব্রেট করব। সবাইকে চমকে দেব আমরাও পারি! থাক না সে ডিকেডে সবার অজানা রক্তাক্ত ইতিহাস।’
বিচ্ছেদপরবর্তী জীবনকে বেশ ভালোই উপভোগ করছেন এ অভিনেত্রী। সে কথা তার স্ট্যাটাসেই স্পষ্ট। সাবা লিখেছেন— যে কোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই ভাবনাটা সমান্তরাল দুই পাশ থেকেই আসতে হয়। আজকে যখন নিজেকে দেখি অবাক লাগে। কত চড়াই-উতরাই পার করে আজ কি সুন্দর জীবন।
তিনি আরও লেখেন— অলমোস্ট ৯ বছরের ছেলের মা। যে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারে যে, তার কোনো ভয় নেই। তার আশপাশে শক্ত আরামের দেয়াল। তার মানে কিন্তু এই নয়, আমি আমার জীবন উপভোগ করি না। আমি আমার জীবন পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করি।
সাবা লেখেন, ‘যা হবার ছিল বা হতে পারতাম না ভেবে, প্রতিদিন নিজেকে ভেঙে গড়ি, প্রতিদিন আমি আরও সুন্দর, শক্ত, আধুনিক, পিওর হই। শুকুর আলহামদুলিল্লাহ।’ এর পরই হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে সাবা লেখেন, ‘আমার স্বাধীনতার ৮ বছর।
প্রসঙ্গত, ছয় বছরের দাম্পত্য জীবনে ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর পুত্রসন্তানের মা হন অভিনেত্রী সাবা। ছেলের নাম রাখেন স্বরবর্ণ। এখন ছেলেকে নিয়েই সময় কাটে এ তারকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।