জুমবাংলা ডেস্ক : মেডিকেল কলেজগুলোতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় জেলা কোটা বাতিল এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্ধারিত সময়ে আসন পূরণ না হলে সেসব আসনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছুদের ১০ নম্বর কাটা হবে।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. জামাল সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রবিবার ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সভায় অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া গত বছর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বেশ কিছু আসন ফাঁকা থেকে গেছে। এবার সেসব আসন কীভাবে পূরণ করা যায়, তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও পরামর্শ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো: মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্ধারিত সময়ে আসন পূরণ করা না গেলে, সেসব আসনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হবে।
দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছুদের বিষয়ে তিনি জানান, ভালো কোথাও ভর্তি হতে ভর্তি থাকা অনেক শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেয়। সুযোগ পেলে তার আগের আসনটি নষ্ট হয়ে যায়। এতে সরকারের অর্থ অপচয় হয়। এবার এ বিষয়ে কঠোরতার জন্য সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি থাকা দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছুদের ১৫ নম্বর কাটার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। পরে সবার পরামর্শে ১০ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত হয়। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় নিরুৎসাহিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি নেই, এমন শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলে আগের মতো ৫ নম্বর কাটা যাবে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, মেডিকেলের মোট আসনের ২০ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকে জেলা কোটায় আবেদন করা শিক্ষার্থীদের জন্য। এই কোটা সবার জন্যই প্রযোজ্য। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে জেলা কোটায় প্রায় ৭৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। গড়ে প্রতিটি জেলা থেকে প্রায় ১২ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এ সুযোগ পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।৬
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।