জুমবাংলা ডেস্ক : ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারিতে (এমবিবিএস) ভর্তির প্রতিযোগিতায় পুরুষদের পেছনে ফেলছেন নারীরা। এখন মেডিকেল শিক্ষার্থীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই তারা। এই ধারা চলতে থাকলে দীর্ঘমেয়াদে সংকটে পড়তে পারে স্বাস্থ্যখাত। পরিস্থিতি সাপেক্ষে সমতা ফেরাতে পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য কোটার মতো সুবিধার প্রয়োজন হতে পারে বলেও শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ৩১ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী। পাস করেছে ৬০ হাজার ৯৫ জন। এতে পুরুষের তুলনায় নারী শিক্ষার্থী বেশি ১৫ হাজার ৭৭৭ জন।
এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলছে, এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠিত হতে সময় বেশি লাগে। এ কারণে ছেলেরা অন্য পেশার দিকে ঝুঁকছে বেশি। এ ছাড়া পরিবারকে সময় দিয়ে পেশার জায়গাটাও অনেকটা ঠিক রাখা যায় বলে নারীরা মেডিকেলে পড়তে বেশি আগ্রহী।
নারীদের এই এগিয়ে যাওয়ার চিত্র নতুন নয়। তিন দশক ধরেই অব্যাহত এই ধারা। ২০১৭ সালে সমতা থাকলেও ৭ বছরে ১৩ শতাংশ কমেছে পুরুষ শিক্ষার্থী। এভাবে চলতে থাকলে ১০ বছর পর পুরুষের সংখ্যা নামবে ২০ শতাংশের নিচে। অথচ এক সময় নারীকে আগ্রহী করতে দেওয়া হয়েছিল ১০ ভাগ কোটা সুবিধাও।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই নারীরা। এই ধারা চলতে থাকলে দীর্ঘমেয়াদে সংকটে পড়তে পারে স্বাস্থ্যখাত। পরিস্থিতি সাপেক্ষে সমতা ফেরাতে পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য কোটার মতো সুবিধার প্রয়োজন হতে পারে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, নারী চিকিৎসকদের বড় অংশই পড়েন ধাত্রী বিদ্যায়। এর পর আছে চক্ষু ও মেডিসিন। নারী-পুরুষ অসমতা বাড়তে থাকলে অর্থপেডিকস, নিউরোলজি ও জেনারেল সার্জারির মতো বিষয়ে দেখা দিতে পারে সংকট।
এমবিবিএস ভর্তিতে এগিয়ে গেলেও, পাস করার পর চিকিৎসা পেশায় আসছেন না এই নারীদের অনেকে। চিকিৎসক সংকট কাটাতে তাই এর পেছনে থাকা কারণগুলো শনাক্ত করতে হবে শিগগিরই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।