আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে মেডিকেল ভিসা দেওয়া হয়েছিল ৩ লাখ ৪ হাজার ৬৭ বাংলাদেশিকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভিসা প্রদানের শতকরা হার বেড়েছে প্রায় ৪৭.৯ শতাংশ। ওই অর্থবছরে মেডিকেল ভিসা প্রদান করা হয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৫৭০ জন বাংলাদেশিকে।
ভারতের সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩-২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কান নাগরিকদের জন্য কেবলমাত্র ১,৪৩২ টি মেডিকেল ভিসা দিয়েছে ভারত, তার আগের অর্থবছরের তুলনায় ১১ শতাংশ কম, ২০২২-২৩ সালে ভিসা দেওয়া হয়েছিল ১,৬২২ জনকে। একই সময়ে মিয়ানমারের নাগরিকরা ৩,০১৯ টি মেডিকেল ভিসা পেয়েছেন, যা তার আগের বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ সালে মালদ্বীপের ১,৬৪৫ জনকে মেডিকেল ভিসা দেওয়া হয়েছিল, তার আগের অর্থবছরে সেই সংখ্যাটা ছিল ১,৪৪১। পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য ২০২৩-২৪ সালে মাত্র ৭৬ টি মেডিকেল ভিসা ইস্যু করা হয়েছিল, তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ সালে মেডিকেল ভিসা দেওয়া হয়েছিল ১০৬ জনকে।
ম্যাক্স হেলথকেয়ারের সিনিয়র ডিরেক্টর এবং চিফ সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং অফিসার আনাস আব্দুল ওয়াজিদ বলেন, ‘রাজনৈতিক ও নিরাপত্তার কারণে আমরা পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে রোগী পাচ্ছি না। ভারত সরকার এই দেশগুলোর রোগীদের ভিসা দেয় না। পক্ষান্তরে আমরা প্রতিবেশী নেপাল, মিয়ানমার থেকে ভারতে আসা রোগীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
বাংলাদেশ থেকে এদেশে চিকিৎসা করতে আসা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়ে ওয়াজিদ জানান, ‘বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীরা মূলত চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, কলকাতা এবং দিল্লিতে ভ্রমণ করেন। বাংলাদেশের মাটিতেও ভারতীয় হাসপাতালগুলির বরাবরই একটা সুখ্যাতি আছে। সেদেশের রোগীরা সাধারণত ট্রান্সপ্ল্যান্ট, কার্ডিয়াক সায়েন্স, নিউরো, অর্থো এবং অনকোলজি সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য ভারতে আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের সময়, বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীদের আগমনে সাময়িক ভাঁটা পড়েছিল কারণ সে সময় কম ভিসা ইস্যু করা হয়েছিল। তাছাড়া মেডিকেল ভিসার জন্য ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃপক্ষের কাছে প্রচুর আবেদন আসে। দূতাবাস কর্তৃপক্ষ সেই অনুরোধ রাখার চেষ্টা করে। যার ফলে ভিসা পেতে রোগীদের জন্য কিছুটা অপেক্ষা করতে হয়।’
কলকাতা মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (CMRI) ইউনিট প্রধান সোমব্রত রায় জানান, ‘কোভিড মহামারীর পরে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধির আর শতকরা ১০ শতাংশ। এই বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যে ভৌগলিক নৈকট্য, সরাসরি ট্রেন এবং বাস পরিষেবা এবং সাংস্কৃতিক, ভাষাগত ও খাবারের মিল।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।