জুমবাংলা ডেস্ক : মহান স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে মাসব্যাপী অক্লান্ত পরিশ্রম করে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধকে সাজিয়েছে নতুন রূপে। নানা রঙের বাহারি ফুলের চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ। নিরাপত্তার জন্য বাড়ানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি। এবার স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে আসবেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি নজরদারি।
জানা গেছে, দিবসটির প্রথম প্রহরেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন কূটনৈতিকবৃন্দ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষজন শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক চার দিনের সফরে সোমবার (২৫ মার্চ) ঢাকায় আসছেন। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভুটানের রাজাও অংশ নেবেন।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের দেখভালের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও বিদেশি কূটনীতিকসহ লাখো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এজন্য সাভার গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে ধুয়ে-মুছে, রং তুলির আচড়ে রং-বেরংয়ের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। লাল ইটে সাদা রঙের ছোঁয়া শুভ্রতা ছড়াচ্ছে। বাহারি ফুলের আয়োজন নজর কাড়বে যে কারোর।
স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীসহ সবার নিরাপত্তার জন্য সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধ এখন সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত লাখো জনতার শ্রদ্ধাঞ্জলি ও ভালোবাসা গ্রহণ করার জন্য। এ ছাড়া এবার স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন ভুটানের রাজা। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বহরে এক সঙ্গে আসার কথা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত দলের মহড়া।সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যে স্মৃতিসৌধে দায়িত্ব পালন করছেন এসএসএফ-এর সদস্যরা।
সব দিক বিবেচনায় রেখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার প্রস্তুতির কথা জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী। আজ রবিবার বিকেলে স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে এ বিশাল আয়োজনকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভুটানের রাজাও এই সফরে অংশ নিচ্ছেন। ফলে সব কিছু মাথায় রেখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে এবার ড্রন দিয়ে আমরা পুরো এলাকার পরিস্থিতি মনিটরিং করব। নিরাপত্তায় সাড়ে ৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কাজ করছে। সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ জাতীয় স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এর আগে গত ১২ মার্চ থেকে এই প্রস্তুতিমূলক কাজের জন্য সৌধ প্রাঙ্গণে সাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছিল কর্তৃপক্ষ।
স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন শেষে সাভারের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, স্মৃতিসৌধ এখন প্রায় পুরোপুরি প্রস্তুত। এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পুরো সাভারসহ রাস্তার দুই পাশ আমরা সাজিয়েছি, আলোকসজ্জা করেছি। জাতীয় নেতাদের বরণ করে নেওয়ার জন্য রাস্তার পাশে ব্যানার ফেস্টুন দেওয়ার কাজ চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।