আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের হ্যাংজু শহরে চলছে ‘এশিয়ান গেমস-২০২২।’ এই গেমস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ডজনখানেক সাংবাদিক এসেছেন চীনে। তাদের অধিকাংশ উঠেছেন গাওশা রোডের একটি হোটেলে। সেখান থেকে প্রধান মিডিয়া সেন্টার তথা এমএমসি’র দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার।
মেট্রো কিংবা ট্যাক্সিতে যাওয়া-আসা করার সময় অনেকেই স্থানীয় ভাষায় ও আকার ইঙ্গিতে জানতে চান কোথা থেকে এসেছি আমরা। বাংলাদেশ বললে অনেকেই চিনেন না। আবার কেউ কেউ চিনেন বলে মাথা ঝাকান এবং ‘মুংজিয়ালা গুয়ো এবং মুংজিয়ালা’ শব্দ উচ্চারণ করেন। তারা এতো দ্রুত উচ্চারণ করে যে শব্দটা ‘মুংজালাগো’র মতো শোনা যায়। সেটার অবশ্য আগা-মাথা কিছু উদ্ধার করতে পারছিলাম না আমরা।
সেদিন বক্সিং স্টেডিয়ামে যাওয়ার সময় শাটল বাস মিস করি। তখন দু’জন স্বেচ্ছাসেবী আমাকে সঙ্গ দিয়ে মেট্রো স্টেশন নিয়ে যান। যাওয়ার সময় দুজনের সঙ্গে অনেক কথা হয়। তারা জানতে চান ‘আমি কোথা থেকে এসেছি?’ জবাবে বলি যে, বাংলাদেশ থেকে। তখন তারা দুজন হাসিমুখে বলতেছিলেন- ‘মুংজালাগো’, মুংজালা।
তখন আমি তাদের কাছে জানতে চাই এই শব্দ দুটোর অর্থ কি? তারা জানান, মুংজালাগো মানে হচ্ছে ‘বাংলাদেশ’। আর ‘মুংজালা’ অর্থ বাংলাদেশি।
এরপর যেখানেই যে জিজ্ঞাসা করেছে কোথা থেকে এসেছি, তাদেরই বলেছি ‘মুংজালাগো’। তারা হাসিমুখে মাথা ঝাকিয়েছে। জুমা’আর নামাজের সময়ও কয়েকজন মুসল্লি জানতে চেয়েছিলেন কোথা থেকে এসেছি। তাদের বাংলাদেশ বললে চিনতে পারছিল না। পরে মুংজালাগো বলার পর হেসে দিয়ে মাথা ঝাকিয়েছে।
এরপর হোটেলের ম্যানেজার, সহকারী, স্বেচ্ছাসেবক, নিরাপত্তাকর্মী সবার কাছে বাংলাদেশের নামের উচ্চারণ জানতে চাই এবং সবার উচ্চারণই মুংজালাগোর মতো শোনা যায়। কিন্তু চাইনিজ ভাষায় এটার উচ্চারণ ‘Mèngjiālā guǒ’ (孟加拉果) – বাংলাদেশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।