বিনোদন ডেস্ক : সমাজে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বলিউড তারকারা বড় ভূমিকা পালন করেন। এখন শুধু পিরিয়ড নিয়ে ছবিই তৈরি হচ্ছে না, বলিউড অভিনেত্রীরাও এই বিষয়ে খোলামেলা কথা বলতে শুরু করেছেন।
সব মহিলাদের জীবনে একটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা পিরিয়ড। এই বিষয় কথা বলা খুবই সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু আজও আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা পিরিয়ড নিয়ে কথা বলা খারাপ চোখে দেখেন। সমাজে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বলিউড তারকারা বড় ভূমিকা পালন করেন। এখন শুধু পিরিয়ড নিয়ে ছবিই তৈরি হচ্ছে না, বলিউড অভিনেত্রীরাও এই বিষয়ে খোলামেলা কথা বলতে শুরু করেছেন।
অভিনেত্রীরা তাঁদের পিরিয়ড স্টোরি শেয়ার করে বহু মেয়েকে সচেতন করছেন। পিরিয়ডের সময় কী খাওয়া উচিত এবং কীভাবে কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে ইত্যাদি নানা বিষয় তাঁরা খোলামেলা কথা বলেন। মহিলারা পিরিয়ডকে যাতে কোনও বাধা বা সংকট হিসাবে না দেখেন, এটিকে তাদের জীবনের একটি অংশ হিসাবে বিবেচনা করেন এবং সাধারণ দিনের মতো পিরিয়ডের মধ্যে থাকতে শুরু করেন এই নিয়ে নানা উদ্যোগ নিয়ে থাকেন তারকারা।
করিনা কাপুর খান
কারিনা কাপুর খান পিরিয়ডের ব্যথা, অস্বস্তি এবং মেজাজের পরিবর্তন নিয়ে বহুবার কথা বলেছেন। কারিনা বলেছিলেন যে, প্রতিটি মহিলার পিরিয়ড মোকাবেলার নিজস্ব উপায় রয়েছে। কিছু মহিলাদের অনেক ব্যথা হয়, আবার অনেকের কিছু হয় না। পিরিয়ডের সময় কাজ পরিচালনার বিষয়ে, সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া করিনার এক পুরনো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, ‘আমার ক্র্যাম্প নাও ধরতে পারে, কিন্তু যখন আমার পিরিয়ড হয়, তখন আমি কিছু গানের শ্যুটিং করতে পারিনি। তাই আমি আমার কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোম্পানি ও প্রোডাকশন হাউসের এটা বোঝা উচিত। এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এই সময় মহিলাদের কথা ভাবা উচিত তাদের।
সোনম কাপুর
১৫ বছর বয়সে যখন সোনম কাপুরের প্রথমবার পিরিয়ড হয়। পিরিয়ড সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সোনম বলেছিলেন যে, পিরিয়ডের সময় তাঁকে অনেক জায়গায় যেতে দেওয়া হয়নি। সোনম তাঁর এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার মনে আছে আমার ঠাকুমা বলতেন পিরিয়ডের সময় মন্দির বা রান্নাঘরে যাবে না, আচারের আশেপাশে থাকবে না। শহরে থেকেও আমরা যখন এই কথা শুনতে পাই, তখন ভাবুন গ্রামের মেয়েদের কতটা কষ্ট করতে হয়।”
আলিয়া ভাট
আলিয়া ভাটও বিভিন্ন সময় পিরিয়ড নিয়ে কথা বলেছেন । পুরনো এক সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেন যে, পিরিয়ড হওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। নায়িকার কথায়, “পিরিয়ডের সময় মহিলাদের কেন ধর্মীয় স্থানে যেতে দেওয়া হয় না, তা নিয়ে আমি বিচলিত। এমন কোনও শর্ত থাকা উচিত না। এর ফলেই তো আমরা একটি প্রাণের জন্ম দিতে পারি। তাহলে নারীদের পিরিয়ডকে কীভাবে অপবিত্র বলা যায়?”
রাধিকা আপ্তে
পিরিয়ড নিয়ে কথা বলার সময় রাধিকা আপ্তে বলেন, “আমার মনে আছে সেই দিনটি যখন আমার পিরিয়ড শুরু হয়েছিল। ক্লাসের মাঝখানে বাথরুমে গেলাম। যেদিন আমার প্রথম পিরিয়ড হয়, খুব গর্বিত বোধ করছিলাম।” এক সাক্ষাৎকারে নায়িকা বলেছিলেন যে, “কেবল পুরুষরা নয়, মহিলারাও পিরিয়ড নিয়ে কথা বলতে লজ্জা পান। মেয়েদের মায়েরা পিরিয়ড নিয়ে কথা না করেন। মন্দির এবং রান্নাঘরে যাওয়া বারণ থাকে। তাই পিরিয়ডের নিষেধাজ্ঞা শুধু পুরুষদের মধ্যে নয়, মহিলাদের মধ্যেও রয়েছে।”
শ্রদ্ধা কাপুর
শ্রদ্ধা কাপুরও পিরিয়ড নিয়ে তাঁর মতামত জানিয়েছেন। শ্রদ্ধা বলেন, “আমার মনে আছে পিরিয়ড নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতাম না। তবে হ্যাঁ, মনে আছে পিরিয়ডের সময় আমি আমার স্কুলের ছেলেদের জ্বালাতন করতাম। আমি যখনই তাদের বলতাম যে আমার পিরিয়ড হইয়েছে, তারা লজ্জা পেত এবং সেটা আমি খুব উপভোগ করতাম।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।