জুমবাংলা ডেস্ক : মানসিক ডিপ্রেশনে ভুগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের এক শিক্ষার্থী নিজ হলে আত্মহত্যা করেছেন। তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না সহপাঠী-স্বজন কেউই। বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে ডা. আলিম চৌধুরী ছাত্রী নিবাসের তৃতীয় তলার ৪৫ নম্বর রুম থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম- জয়া কুন্ডর (২৩)। তার গ্রামের বড়ি খুলনা জেলার খান জাহান আলী থানা এলাকায়।
মেধাবী এই শিক্ষার্থী খুলনা ল্যাবরেটরি হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও খুলনা বিএল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর উচ্চতর শিক্ষার অংশ হিসেবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন।
নিজের মেধা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে তিনি বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পান। তবে মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে ভর্তি হন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। মেডিক্যালের পড়াশোনাও ছিলো শেষের দিকে। এমবিবিএস পঞ্চম বর্ষে অধ্যায়ন করছিলেন। ছিলেন মেডিক্যালের কে-৭৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
জয়া কুন্ডর বড় ভাই পার্থ কুন্ড জানান, আমার বোন বেশ কিছুদিন যাবত ডিপ্রেশনে (হতাশা) ভুগছিলেন। তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে কাউন্সিলিংও করানো হয়েছিল। আমার বোন অনেক মেধাবী ছিল। তার মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘কী তাড়া ছিল, যে কারণে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিলি। কী এমন ঘটনা ঘটলো যে তাকে আত্মহত্যা করতে হলো?
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জয়া কুন্ড ডা. আলিম চৌধুরী ছাত্রী নিবাসের তৃতীয় তলার ৪৫ নম্বর রুমে থাকতেন। তার সাথে সেই কক্ষে তার বান্ধবী পৃথুলা রায়, ও লাবনী থাকতেন। সকাল ১০টার দিকে পৃথুলা ও লাবনী বেরিয়ে যান। এসময় জয়া একাই রুমে অবস্থান করছিলেন। এর কিছুক্ষন পরই তার আত্মহত্যার খবর পেলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এস এম এলিস মাহমুদ বলেন, ওই ছাত্রী দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। এর আগেও তিনি একবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্যাপারটা সবাই জেনে যায়। সেসময় আর আত্মহত্যা করতে পারেনি। এরপর তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে কাউন্সেলিং করা হয়।
এলিস মাহমুদ আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তারা বাবা-মায়ের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিলো না। এ বিষয়টি নিয়ে জয়া মনখারাপ করে থাকতেন। সে মনখারাপাটা তার ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা একটি অপমৃত্যু মামলা নিয়েছি। বাকী আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন।
এমএক্স প্লেয়ারের সবচেয়ে সাহসী ওয়েব সিরিজ এটি, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, সকাল সাড়ে দশটার জয়া তার রুমমেট লাবনীকে ‘আই লাভ ইউ লাবু’ লিখে একটি মেসেজ দেয়। একই সময় তার মাকেও সে একই মেসেজ পাঠায়। এরপর বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে তার রুমমেটরা হলে ছুটে যায়। এ সময়ের মধ্যে জয়া আত্মহত্যা করে ফেলে। রুমমেটরা তার মরদেহ ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।