স্পোর্টস ডেস্ক : খেলেন ফুটবল। বাড়ি ভর্তি বল, বুট, জার্সি, ট্রফি থাকারই তো কথা মোহামেদ সালাহর। তবে লিভারপুল ফরোয়ার্ডের বাড়িতে তারচেয়ে বেশি বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামাদি।
এই তথ্য নিজেই দিয়েছেন তিনি। মজার ছলে জানালেন, তার বাড়ি দেখতে হাসপাতালের মতো। বউয়ের বিরক্তি সত্ত্বেও অসুখ ও চোট থেকে সেরে ওঠার প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রে ঠাসা সালাহর বাড়ি।
ইতোমধ্যে মার্সিসাইডে দুর্দান্ত এক মৌসুম শেষ করেছেন ২৯ বছর বয়সী তারকা। খুব কাছে গিয়েও ইউর্গেন ক্লপের দল কোয়াড্রপল জিততে ব্যর্থ হলেও সালাহ ছিলেন অনন্য। গোল্ডেন বুটের পাশাপাশি হয়েছেন দ্বিতীয়বারের মতো বর্ষসেরা।
এমনি এমনি এই সাফল্য আসেনি। কঠোর শৃঙ্খলবদ্ধ জীবন, নিয়মিত অনুশীলন, ধ্যানে সময় উৎসর্গ করেই সালাহর হাতে এসেছে একক নৈপুণ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার। কেবল কি মাঠে, ঘরে বসেও ভেবেছেন ফুটবলকে। আর চোট বা ঝুঁকিপূর্ণ যেকোনো কিছু এড়ানোর জন্য হাতের নাগালে ছিল চিকিৎসা সরঞ্জামাদি। আর তার প্রায় সব ঘরেই।
সফলতার জন্য অনুশীলনের পাশাপাশি প্রতিদিন কি করেন সালাহ? ধ্যান। ফ্রান্স ফুটবল’কে নিজের রুটিন সম্পর্কে নিজের সাফল্যের মূলমন্ত্র ফাঁস করেন সালাহ, ‘বাড়িতে একা আমি প্রতিদিন দশ বা বিশ মিনিট ধ্যান করার চেষ্টা করি।’
আর বাড়ির অন্য দুটি রুম ফিটনেস যন্ত্রপাতির জন্য বরাদ্দ মিসরীয় ফরোয়ার্ডের, ‘আমাদের বাড়ির দুটি রুম বিভিন্ন ফিটনেস যন্ত্রপাতি ও বডিবিল্ডিংয়ের জন্য বরাদ্দ। বাড়িতে আমি সাইরোথেরাপি করতে পারি। হাইপারবারিক চেম্বারও আছে। আমি প্রতিনিয়ত নিজের শারীরিক অবস্থার উন্নতি করার চেষ্টা করি।’
‘এটা সত্যি যে, আমি বলতে চাই আমার বাড়ি দেখতে হাসপাতালের মতো। তবে আমার স্ত্রী এসব পছন্দ করে না। তারচেয়ে বেশি আমি অধিকাংশ সময় এসব যন্ত্রপাতির সঙ্গেই সময় কাটাই’, যোগ করেন সালাহ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।