স্পোর্টস ডেস্ক : ২০২৬-এ বয়স হবে উনচল্লিশ। মেসি নিজেই জানিয়েছেন, ওই বয়সে সাধারণত কেউ বিশ্বকাপ খেলেন না। কিন্তু সময় যদি এভাবেই যায়, শরীর যদি এমনই সাড়া দেয়, আর দলও যদি জয়ের জন্য এতটাই ক্ষুধার্ত থাকে, তাহলে পরের বিশ্বকাপেও দেখা যেতে পারে তাঁকে।
ক্যারিয়ারের একটা লম্বা সময় বার্সেলোনার লক্ষ্মী ছেলে হয়েই কাটিয়ে দিয়েছেন। আর্জেন্টিনার অনেকেই তাঁকে তখনও স্বদেশি হিসেবে মেনে নিতে পারেননি। মেসি নিজেও হয়তো কিছুটা আড়ষ্ট ছিলেন। কিন্তু বার্সা ছাড়ার পর গত বিশ্বকাপের আগে থেকেই মেসির মধ্যে আর্জেন্টিনার জন্য কিছু করার প্রবল তাড়না লক্ষ্য করা যায়, যার সফল পরিণতি পায় কাতার বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে।
‘আমি নিজেই ভেবেছিলাম, কাতার বিশ্বকাপের পর হয়তো অবসর নেব। কিন্তু ঠিক তার উল্টোটাই হলো। এখন আমি এই দলটিকে আরও বেশি উপভোগ করি। বছরের পর বছর অনেক ভোগার পর আজ আমরা এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে, যেখানে চাইলেই সব কিছু উপভোগ করা যায়। এতটা পরিপূর্ণভাবে আমি জীবনে কখনও কাটাইনি। আর্জেন্টিনার এই দলটির সঙ্গে দারুণ সময় কাটাচ্ছি এটা ভেবে নয়, আগামী দু-তিন বছর পর কী হবে। আমি পরের বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবতে চাই না। তবে শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে এটাও বলতে পারি না, পরের বিশ্বকাপে আমি খেলব না। আসলে সময়ই সব কিছু বলে দেবে। এখন আমার যে বয়স, তাতে করে সাধারণত পরের বিশ্বকাপ খেলা কঠিন।’
ইএসপিএন আর্জেন্টিনাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এভাবেই মনের কথা খুলে বলেছেন মেসি।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে ২০২৬ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। তাঁর আগে মেসির চোখ পরের বছর কোপা আমেরিকার দিকে। কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনার সাধারণ জনগণের কাছে মেসি ভীষণ জনপ্রিয়। সে দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকরও চান পরের বিশ্বকাপ খেলুক মেসি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।