বয়সকে থোড়াই কেয়ার করে এখনও ফুটবল মাঠে চিরচেনা রূপে হাজির হতে ভোলেন না অন্যতম দুই মহাতারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পরস্পরের রেকর্ড ভাঙা-গড়ায় তারা এখনও ধারাবাহিক। দু’দিন আগে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে জোড়া গোল করেন মেসি। ইউরোপীয় অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নেমে পর্তুগালের জার্সিতে রোনালদোও জোড়া গোল করলেন।
গতকাল (শনিবার) রাতে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল পর্তুগাল। যেখানে ৫-০ গোলে উড়ে গেছে স্বাগতিক আর্মেনিয়া। পর্তুগালের পক্ষে রোনালদো ও জোয়াও ফেলিক্স জোড়া এবং জোয়াও কান্সেলো এক গোল করেন।
এই ম্যাচেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮তম গোল হয়ে গেল সিআরসেভেনের। গত শুক্রবার জোড়া গোল করে মেসি তাকে ছুঁয়েছিলেন। এবার রোনালদো তাকে পেছনে ফেলে রয়েছেন সবার শীর্ষে ওঠার দ্বারপ্রান্তে।
ম্যাচের ২১ মিনিটেই স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। পেদ্রো নেতোর বাড়ানো ভাসমান বলে লাফিয়ে পা ছুঁয়ে রোনালদো জালকে ঠিকানা বানান। যা জাতীয় দলে তার টানা চতুর্থ ম্যাচে গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রোনালদো করলেন দৃষ্টিনন্দন এক দূরপাল্লার গোল। প্রতিপক্ষের বল নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারার সুযোগে বক্সের বাইরে থেকে তিনি বুলেট গতির শট নেন। যার কিছুটা নাগাল পেলেও রোখার সাধ্য ছিল না গোলরক্ষকের।
এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে (১২২ ম্যাচে) ১৪০ এবং বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮তম গোল হয়ে গেল রোনালদোর। বাছাইয়ে সর্বোচ্চ গোলের দিক থেকে তার সামনে আছেন কেবল গুয়াতেমালার কার্লোস রুইজ।
বিশ্বকাপে ওঠার লড়াইয়ে ৪৭ ম্যাচে তিনি ৩৯ গোল করেন। অন্যদিকে, মেসি ৭২ ম্যাচে করেন ৩৬ গোল। ২০২৬ বিশ্বকাপে অনেক আগেই জায়গা নিশ্চিত করা আর্জেন্টিনার আর একটি বাছাইয়ের ম্যাচ বাকি। যে ম্যাচে মেসি খেলবেন না বলে জানিয়েছেন। ফলে রোনালদোকে ধরারও সম্ভবত আর সুযোগ নেই!
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ গোল
কার্লোস রুইজ (গুয়াতেমালা) ৪৭ ম্যাচ – গোল ৩৯
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল) ৪৮ ম্যাচ – গোল ৩৮
লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা) ৭২ ম্যাচ – গোল ৩৬
আলি দায়েই (ইরান) ৫১ ম্যাচ – গোল ৩৫
রবার্ট লেভান্ডফস্কি (পোল্যান্ড) ৪০ ম্যাচ – ৩১ গোল
লুইস সুয়ারেজ (উরুগুয়ে) ৬৪ ম্যাচ – ২৯ গোল
অন্যদিকে, ইউরোপ অঞ্চল থেকে পর্তুগাল মাত্র বাছাইপর্ব শুরু করেছে। ‘এফ’ গ্রুপে তাদের সঙ্গী আর্মেনিয়া, আয়ারল্যান্ড ও হাঙ্গেরি। গ্রুপপর্বে প্রতিটি দল পরস্পর হোম-অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে দু’বার করে মুখোমুখি হবে। গ্রুপপর্ব শেষে ১২টি দল সরাসরি জায়গা করে নেবে বিশ্বকাপের মূলপর্বে। বাকি ১২ রানার্সআপের প্লে-অফ থেকে উঠবে ৪ দল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।