স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন ফেসবুক। আর সেই ফেসবুকে নানাসময়ে দেখা যায় নানা ধরনের সঙ্গতি-অসঙ্গতি। এবার ফেসবুকে দেখা মিলল ফুটবল জগতের বিখ্যাত তারকা লিওনেল মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জ’র একমাত্র ভ্যারিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। যে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চালাচ্ছে বাংলাদেশি কেউ।
ফেসবুকের সার্চ ইঞ্জিনে আন্তোনেল্লা রোকুজ্জ’র ইংরেজি বানানে (Antonela Roccuzzo) লিখে সার্চ দিলেই দেখা মিলবে সেই ভ্যারিফাইড অ্যাকাউন্ট। অ্যাকাউন্টটিতে নিয়মিত দেয়া হচ্ছে আপডেট। ছেলের জন্মদিন, নিজের দৈনন্দিন কার্যক্রম থেকে শুরু করে বাদ যাচ্ছে না মেসি-রোকুজ্জ’র একান্ত সময়ের ছবিও। যুগিয়েছেন ভালো ফ্যান-ফলোয়ার্সও। যারা প্রতিনিয়িত ফেসবুকে বসে থাকেন প্রিয় খেলোয়াড়ের স্ত্রীর আপডেটের অপেক্ষায়।
এ থেকে ভক্তরা ভেবেই নিয়েছেন এটাই মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জ’র ভ্যারিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। কিন্তু পেজ ট্রান্সপারেন্সি অপশনে গিয়ে দেখা যায় অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করছেন মোট চারজন এডিমন। যার মধ্যে একজন বাংলাদেশি এবং বাকি তিনজনের অবস্থান লুকানো অবস্থায় আছে। তবে খোদ মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জ নিজেই জানিয়েছেন তার কোনও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই। এতে স্পষ্টতই বোঝা যায়, কোনও বাংলাদেশি ২০১৭ সালে এই ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে চালিয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর।
আন্তোনেল্লা রোকুজ্জ’র ভ্যারিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অনুসরন করে আসছেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এরা প্রত্যেকেই ফুটবলপ্রেমী ও তারকা লিওনেল মেসির ভক্ত বলেই আন্তোনেল্লা’র আইডি ফলো করেন। তারা কেউই জানেন না এটা ভুয়া অ্যাকাউন্ট।
মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা’র ভুয়া আইডি দুই বছর ধরে ফলো করছেন জবিহুল্লাহ নামের এক ফুটবল ভক্ত। তিনি বলেন, আমি মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা’র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফলো করি দুই বছর ধরে। কখনও ভাবতেই পারিনি এটা ভুয়া আইডি। এমনকি বাংলাদেশি কেউ চালায়। এমন খবর শুনে আমি মর্মাহত। প্রতারণাকারীর বিচার চাই।
সিফাত নামের এক ভক্ত বলেন, এখন থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাউকে ফলো করার আগে নিশ্চিত হয়ে করবো। যেভাবে প্রতারণায় আমাদের নাম এগিয়ে যাচ্ছে, এ থেকে বের হতে হবে। আরও সচেতন হতে হবে আমাদের। আমি নিয়মিত ফলো করতাম। এখনই আনফলো করে দিব।
অর্থের বিনিময়ে মেটা’র ফেসবুক, ইনস্ট্রাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইলন মাস্কের টুইটারের ‘নীল টিক ব্যাজ’ বা অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন সেবা চালু হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে বলে মত দিয়েছেন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা। শুধুমাত্র ‘নীল টিক ব্যাজ’ দেখে কাউকে বিশ্বাস করে সর্বস্ব হারানোর আগেই সচেতন হতে হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।