বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম আর হোয়াটসঅ্যাপের মালিক মেটার জন্য বড় ধরনের আইনী পরাজয় ঘটেছে। ৫০০ কোটি ডলার জরিমানা কমানোর আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
অভিযোগ, শিশুদের ডেটা সংগ্রহে মেটা অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করেছে মেটা। সন্তানের অ্যাকাউন্টে মা-বাবার কতটা নিয়ন্ত্রণ আছে তা নিয়ে সঠিক তথ্য দেয়নি কোম্পানিটি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এফটিসি) গত মে মাসে মেটাকে একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। এর মধ্যে ছিল ‘মেসেঞ্জার কিডস’ এর মাধ্যমে শিশুরা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে তা নিয়ে অভিভাকদের ভুল তথ্য দেওয়া।
মেটার অন্যায় অনুশীলনের সাজা হিসাবে ২০১৯ সালে মেটাকে ৫০০ কোটি ডলার জরিমানা করে এফটিসি। জরিমানার অর্থ কমাতে মেটা আবেদন করে ওয়াশিংটন ডিসির আদালতে, যা নাকচ করে দেন ওই ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক টিমোথি কেলি।
এফটিসি বলেছে, এই জরিমানার পরিমাণ কমানো হবে কি না সেটা নির্ভর করছে সংস্থার ওপর, এ বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারের বাইরে। তবে, কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংস্লিষ্ট আদালতে আপিল করা যেতে পারে।
এফটিসি আরও বলেছে, এই জরিমানা মেটাকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের তথ্য ব্যবহার করে ভার্চুয়াল রিয়ালিটিসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে অর্থ আয়ের পথ কঠিন করবে। ‘ফেইশল রিকগনিশন’ প্রযুক্তি ব্যবহারেও সিমাবদ্ধতার সম্মুখীন হবে মেটা।
মেটার আয়ের ৯৮ শতাংশ আসে ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর ভিত্তি ব্যবহার করে চালানো টার্গেটেড বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। সামাজিক মাধ্যম হিসাবে মেটা সামপ্রতিক সময়ে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে টানতে রীতিমতো সংগ্রাম করছে শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটকের সঙ্গে।
২০২৩ এর শুরুতে পিউ রিসার্চ সেন্টারের করা একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ব্যবহারকারীদের মাধ্যে ৬২ শতাংশই ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে, অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছে ১৭ শতাংশ।
শিশুদের প্রাইভেসি নিয়ে এফটিসি’র অভিযোগকে বিবৃতিতে মেটা ভিত্তিহীন বলছে।
“আদালতের রায়ের আলোকে আমরা আইনি বিকল্পগুলো বিবেচনা করছি। এফটিসি একতরফাভাবে আমাদের চুক্তি নতুন করে লেখানোর যেচোপ দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।” – বলেছেন মেটার এক মুখপাত্র।
এফটিসি এর আগে দুইবার প্রাইভেসি লঙ্ঘন নিয়ে ফেইসবুকের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে।
প্রথমটি ছিল ২০১২ সালে, যখন ফেইসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় অ্যাকাউন্টের তথ্যের উপর ব্যবহারকারীদের নিতন্ত্রণ সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ফেইসবুক।
এরপর ২০২০ সালে সংস্থাটি ফেডারেল আদালতে আবেদন করে মেটাকে ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটস অ্যাপ বিক্রির আদেশ দিতে। ওই মামলার বিচার কাজ এখনো শুরু হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।