জুমবাংলা ডেস্ক : মেক্সিকোর ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে হালাল মাংস রপ্তানির পাশাপাশি দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ইবারো আমেরিকানা ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে তারা এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এতে বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম খান, মেক্সিকান বিজনেস কাউন্সিল ফর ফরেন ট্রেড, ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির এশিয়া ও ওশেনিয়া বিভাগের প্রেসিডেন্ট সার্জিও লে লোপেজ, মেক্সিকোর আমদানি-রপ্তানি সংস্থার ডিরেক্টর মিসায়েল ড্যানিয়েল রেয়েস, মেক্সিকোর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মহাপরিচালক নাথান উলফ লাস্টবেডার প্রমুখ।
সেমিনারে দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের (বিজনেস টু বিজনেস পিপল) মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যোগাযোগব্যবস্থা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রযুক্তিসহ সব খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।
করোনা মহাসংকটের পর রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মতো বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং স্থিতিশীলতার কথাও তুলে ধরেন টিপু মুনশি।
এ সময় মেক্সিকোর ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে হালাল মাংস রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর কথাও বলেন তারা।
মেক্সিকোর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মহাপরিচালক নাথান উলফ লাস্টবেডার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাজারের বৈচিত্র্যের ওপর জোর দিতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খান বাংলাদেশের অনুকূল বাণিজ্য ল্যান্ডস্কেপ নিয়ে আলোচনা করেন। দেশটির ব্যবসায়ী নেতা এবং নীতিনির্ধারকদের কৃষি, ওষুধ, আইসিটি, খেলাধুলা, শিক্ষা এবং সংস্কৃতির মতো ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সুযোগ অন্বেষণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান তিনি।
ইবারো আমেরিকানা ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড বিভাগের সমন্বয়ক ড. আরিবেল কনটেরাস সুয়ারেজ, মেক্সিকোর অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন। এ ছাড়া দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বিশাল ব্যাবসায়িক সম্ভাবনা সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করেন।
মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম সেমিনারটি পরিচালনা করেন। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে সমন্বয়মূলক অংশীদারি, কৌশলগত বিনিয়োগ, উদ্ভাবনী অনুশীলন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং বাজার অনুসন্ধানের জন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।