বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : প্রায় সাত হাজার কোটি ডলারে কল অফ ডিউটি গেইমের নির্মাতা অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ড অধিগ্রহণের মাধ্যমে গেইমিং শিল্পে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চুক্তি সম্পন্ন করেছে মাইক্রোসফট।
এই চুক্তির শেষ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। অবশেষে, তাদের কাছ থেকেও ‘সবুজ সংকেত’ পেয়েছে এক্সবক্স-এর মালিক কোম্পানিটি।
যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সিএমএ’ বলেছে, এ অধিগ্রহণ আটকে দেওয়ার পর সংস্থাটির উত্থাপিত শঙ্কাগুলো নিয়ে কাজ করেছে মাইক্রোসফট।
আক্টিভিশনের সঙ্গে এ চুক্তি নিশ্চিত হওয়াকে ‘অসাধারণ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এক্সবক্স প্রধান ফিল স্পেন্সার।
বিবিসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, চুক্তিটি ঘোষণা করার পর অ্যাক্টিভিশন সিইও ববি কটিক কর্মীদের পাঠানো চিঠিতে নিশ্চিত করেছেন, ২০২৩ সাল শেষে তিনি নিজ পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন।
“আমি দীর্ঘ সময় ধরেই বলে আসছি, এ পরিবর্তনে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।” –বলেন তিনি।
“আমাদের কর্মী ও গেইমাররা যেন সহজেই এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, তা নিয়ে আমি ও (ফিল স্পেন্সার) উভয়ই একজোট হয়ে কাজ করব।”
এর আগে কল অফ ডিউটি গেইম নিয়ে প্লেস্টেশনের নির্মাতা সনি’র মতো প্রতিদ্বন্দ্বী ও গেইমিং শিল্পের নিয়ন্ত্রকরা শঙ্কা প্রকাশ করলেও গেইমারদের এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন মাইক্রোসফট গেইমিংয়ের প্রধান নির্বাহী স্পেন্সার।
“আপনি এক্সবক্স, প্লেস্টেশন, নিনটেন্ডো, পিসি বা মোবাইল, যে সংস্করণেই গেইম খেলেন না কেন, আপনাদের সবাইকে এখানে স্বাগতম। আর আপনার পছন্দের ফ্রাঞ্চাইজ খেলার জন্য এক্সবক্স না থাকলেও চলবে।” –অধিগ্রহণের পর দেওয়া বিবৃতিতে বলেন স্পেন্সার।
“আর প্রত্যেকে গেইম খেললে আমরা সকলেই লাভবান হব। আমি বিশ্বাস করি, আজকের এ খবর গেইম খেলার নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।”
প্রতিযোগিতামূলক দামের নিশ্চয়তা
নতুন করে কাজ করা এই চুক্তিতে ফরাসি ভিডিও গেইম নির্মাতা ইউবিসফটের ক্লাউড সেবায় অ্যাক্টিভিশনের বিভিন্ন গেইম কনসোল ও পিসিতে খেলার সুযোগ দিয়েছে মাইক্রোসফট।
তবে, এমন ছাড় দেওয়ার পরও ‘কল অফ ডিউটি’, ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ারক্রাফট’ ও ‘ক্যান্ডি ক্রাশ’-এর মতো জনপ্রিয় গেইমগুলোর নিয়ন্ত্রণ থাকবে মাইক্রোসফটের হাতে, যা থেকে বড় আর্থিক লাভ পাবে কোম্পানিটি।
সিএমএ বলেছে, পুনর্গঠিত চুক্তিটি গেইমিং শিল্পের ‘বাজারে প্রতিযোগিতামূলক দামের নিশ্চয়তা’ দেবে। ফলে, আগের চেয়ে বেশি বিকল্প পছন্দ ও ভালোমানের সেবা ব্যবহারের সুযোগ মিলবে।
তবে, অনুমোদন দেওয়ার পরও মাইক্রোসফটের প্রায় দুই বছর দীর্ঘ এ লড়াই নিয়ে সমালোচনা করেছে সিএমএ।
“বিভিন্ন ব্যবসা ও তাদের পরামর্শকদের জানা উচিৎ, মাইক্রোসফট যে কৌশলে সিএমএ’র সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তা সঠিক ছিল না।” –বলেন সিএমএ’র প্রধান নির্বাহী সারাহ কার্ডেল।
“আমাদের প্রাথমিক তদন্তের সময়ই মাইক্রোসফট এই চুক্তি পুনর্গঠনের সুযোগ পেয়েছিল। তারা এর বিকল্প পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানালেও আমরা তাতে সায় দেইনি। এমন কার্যক্রম একইসঙ্গে খরচ ও সময়সাপেক্ষ।”
বছরের শুরুতে অধিগ্রহণ আটকে দেওয়ার পর মাইক্রোসফটের প্রেসিডেন্ট সিএমএ’র সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এটা ‘যুক্তরাজ্যের জন্য বাজে’ ফলাফল বয়ে আনতে পারে। আর তাদের ‘প্রযুক্তিবান্ধব দেশ হওয়ার লক্ষ্যেও’ বাধা সৃষ্টি করে এটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।