জুমবাংলা সেড্ক : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মাইকিং করে তরমুজ বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তরমুজের দাম কিছুটা কমে গেছে। কিছু দিন আগে যে আকারের তরমুজ বিক্রি হয়েছে এক শ’ টাকায়, তা বাধ্য হয়ে চার পিস এক শ’ বলে মাইকিং করতে হচ্ছে। তারপরও বিক্রি অনেক কম।
অনেক ব্যবসায়ী পুঁজি নিয়ে শঙ্কিত। তিন দিন ধরে মিরসরাই সদরে ফুট ওভারব্রিজের নিচে মাইকিং করে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। মাইকে বলা হচ্ছে, ‘চাই লন, বাচি লন, চার পিস এক শ।’
তরমুজ ব্যবসায়ী সুমন বলেন, ‘এবার নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকায় একটি তরমুজের ক্ষেত কিনেছি। বৃষ্টির কারণে জমিতে অনেক তরমুজ নষ্ট হয়েছে। এখন পুঁজি তুলতে পারব কিনা, চিন্তায় আছি। প্রতি বছর রমজানে প্রচুর তরমুজ বিক্রি হতো। এবার রমজানে আবহওয়া ঠান্ডা থাকায় তেমন বিক্রি হচ্ছে না।’
মিঠাছরা বাজারেও মাইকিং করে তরমুজ বিক্রি করছেন নুরুল আবছার নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘১০ থেকে ১৫ দিন আগেও ভালো দামে তরমুজ বিক্রি করেছি। ৪ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছে। গত কয়েকদিন বেচাকেনা কমে গেছে। চলতি চালানে লোকসান গুনতে হবে।’
তরমুজ ক্রেতা নুরুল হুদা বলেন, ‘অন্য বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের দাম কম। আমি প্রতিদিনই ইফতারির জন্য তরমুজ নিয়ে যাই, আজও দু’টি নিয়েছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে ২৫ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০ টাকা পর্যন্ত তরমুজ রয়েছে। আকার অনুযায়ী তরমুজ বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও চট্টগ্রাম থেকে তরমুজ কিনে মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছে। মিরসরাইয়ের চরাঞ্চলে তরমুজের চাষ হলেও এখনো পুরোপুরি বিক্রির উপযোগী হয়নি। তাই বাইরে থেকে তরমুজ আনতে হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।