বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় আগুনে পুড়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া কোমলমতি শিক্ষার্থী-শিক্ষক, অভিভাবক ও নিহত কর্মচারীদের জন্য কাঁদলেন স্বজনরা।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে নিহতদের কথা স্মরণ করে অশ্রু ফেলেছেন শিক্ষক-সহপাঠী ও অভিভাবকরা।
বক্তব্যে কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহত সহকারী শিক্ষিকা মাসুকা বেগমের কথা স্মরণ করে ভগ্নিপতি আব্দুর রহমান বলেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নে যারা জীবন উৎসর্গ করতে পারে তারাই প্রকৃত বীর।
বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৭ম শ্রেণির জারিফ ফারহানের বাবা বলেন, আমার ছেলেটার অনেক স্বপ্ন ছিল। আজ আমার সন্তানকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতাম।
কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, এখন আমি আমার মেয়েটাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছি। সবার কাছে ওদের জন্য দোয়া চাই।
বক্তব্যে মাইলস্টোন দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাস প্রিন্সিপাল ক্যাপ্টেন (অব.) জাহাঙ্গীর খান বলেন, সন্তান হারানোর বেদনা অপূরণীয়। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত মনে থাকবে, সন্তানকে অকালে হারিয়েছি।
তিনি বলেন, যে শিক্ষকরা সেদিন উদ্ধার কাজ করেছে, এখন তারাই আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এসব শিক্ষকদের দৃঢ়তার প্রশংসা করতেই হয়।
পরে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) নুরুন্নবীসহ প্রতিষ্ঠানটির প্রায় পাঁচশতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবক।
২১ জুলাই দুপুর আনুমানিক ১টা ১২ মিনিটে বিমান বাহিনীর এফ-৭ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। এতে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরসহ ঝরে যায় ৩৩টি তাজা প্রাণ। এখনো হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে দগ্ধ অনেকেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।