লাইফস্টাইল ডেস্ক : অল্প কাজ করলেই ক্লান্তি ঘিরে ধরে, কোথাও বেরুলে বাড়ি ফিরে কোনো কাজ করতে ইচ্ছা হয় না, মেজাজ নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে, সময়-অসময়ে ঘুম ঘুম পাচ্ছে- এসব উপসর্গের মূল কারণ আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাব অথবা পুষ্টি শোষণ ক্ষমতা কম। অর্থাৎ পর্যাপ্ত পুষ্টি নেই শরীরে। এমন অবস্থায় আপনার এনার্জি ফিরিয়ে আনতে পারে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে মিছরি মিশিয়ে খেলে।
সুস্থতার জন্য একদিকে দুধ খুবই উপকারি একটি পানীয়। এর সঙ্গে মিছরি মিশিয়ে নিলে শরীরের পুষ্টির অভাব দ্রুত পূরণ হবে। এছাড়া আপনার যদি দুধে অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলেও খেতে পারেন এই আয়ুর্বেদিক টোটকা। কারণ দুধের সঙ্গে মিছরি অ্যান্টাসিড হিসেবে হিসেবে কাজ করে।
শরীরের বাড়তি কর্মশক্তি যোগায় দুধ-মিছরি। প্রাচীনকাল থেকেই মিছরি অনেক গুরুতর রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এবার জেনে নেওয়া যাক দুধ-মিছরির উপকারিতা সম্পর্কে…
* হালকা গরম দুধের সঙ্গে মিছরি মিশিয়ে খেলে বদহজমের সমস্যা দূর হয়। এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর এবং হজমে উন্নতি করতে সহায়তা করে। অ্যাসিডিটির সমস্যায় ঠাণ্ডা দুধে মিছরি মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
* দুধ-মিছরি খেলে অনিদ্রা দূর হবে খুব সহজেই। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি খেতে হবে।
* মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি মনকে শান্ত রাখতে সহায়তা করে দুধ-মিছরি। হতাশা থেকে মুক্তি পেতেও এটি খুব উপকারি বলে বিবেচিত।
* যারা সারাক্ষণ কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলে কাজ করেন, তাদের জন্য দুধ-মিছরির মিশ্রণটি খুব উপকারী। এটি চোখকে সুস্থ রাখে।
* গরম দুধে জাফরান ও মিছরি মিশিয়ে খেলেও শরীরে অ্যানার্জি আসে। এ ছাড়াও শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ে।
* শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে আরও উন্নত করে দুধ-মিছরি। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
দুর্দান্ত স্বাদের ৯৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী গোলবাড়ির কষা মাংস, রইল রেসিপি
* পুরুষের যৌ* বিকলতা দূর করতেও এই পানীয়টি বেশ কার্যকর।
* ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় এক গ্লাস গরম দুধ ও মিছরি পান করলে সর্দি-কাশি থেকে উপশম ঘটবে। দিনে দুই বার স্বাস্থ্যকর পানীয়টি খেলে শীতের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সূত্র: জি নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।