বিনোদন ডেস্ক : রাজধানীর মিরপুরের ভবনের ৬ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আফরোজা আক্তার মিমি (২১) নামে এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। নিহত মিমি মিরপুর টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার সাইন্সের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
নিহতের পরিবারের দাবি সে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে পুলিশ বলছে সে ছাদ থেকে পড়ে গেছে।
রোববার (২০ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থীর বাবার নাম আফসার উদ্দিন।
নিহতের বাবা অভিযোগ করেন, মেহেদী হাসান নামে এক ব্যক্তির কারণেই তার মেয়ে মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছে। মেহেদীর সঙ্গে তার মেয়ের সম্পর্ক ছিল।
সে বলে আমার মেয়েকে নায়িকা বানাবে। এ কারণে আমার মেয়ের কাছ থেকে আদায় করে নেয় কয়েক লাখ টাকা। এক পর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হলে তারা একটি এফিডেফিট করে কিন্তু কাবিন করে না। এর মধ্যেই আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে মেহেদী আমার মেয়ের পেটের বাচ্চা নষ্ট করে ফেলে। এ ব্যাপারে পল্লবী থানায় মেহেদীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। পরে সে জেল খেটে জামিনে বের হয়। এসব কারণে মিমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তাকে একটি মানসিক হাসপাতাল থেকেও চিকিৎসা করানো হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী ওই মেহেদী। এছাড়া এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে পড়ে গেছে কিনা আমি জানি না তবে যতটুক আমার পরিবার থেকে আমি শুনেছি মিমি লাফ দিয়েছে।
পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, প্রাথমিক তদন্ত জানা গেছে ওই মেয়েটি ছাদের রেলিং থেকে নিচে পড়ে গেছে। পরে কুর্মিটোলা হাসপাতালে সে মারা যায়। সে প্রায় সময় ঘুমের ওষুধ খেত। এ মৃত্যুর ব্যাপারে পরিবার থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ দিলে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।