নিউরোটেকনোলজির জগতে এক যুগান্তকারী অগ্রগতি এনে দিল সুইজারল্যান্ডের ইপিএফএল (EPFL) বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তারা এমন একটি ব্রেন ইমপ্লান্ট তৈরি করেছেন, যা মানুষের মস্তিষ্কে চিন্তার সিগন্যাল বিশ্লেষণ করে তা সরাসরি পাঠ্য রূপে রূপান্তর করতে পারে—তাও আবার ৯১% নির্ভুলতায়।
কী এই MiBMI?
এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে Mini Brain-Machine Interface (MiBMI)। এটি একটি অতিক্ষুদ্র ব্রেন চিপ, যা আঙুলের নখের চেয়েও ছোট এবং চলতে লাগে মাত্র ১ মিলিওয়াটেরও কম বিদ্যুৎ।
এটি কাজ করে মানুষের মস্তিষ্কে লেখা বা নড়াচড়ার সময় সৃষ্ট স্নায়ুবিক সংকেত শনাক্ত করে। বিশেষ করে, মস্তিষ্কে কল্পনায় হাতের লেখা করার সময় যে নির্দিষ্ট সিগন্যাল তৈরি হয়, MiBMI তা পড়তে পারে এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা লেখা আকারে রূপান্তর করতে সক্ষম।
কাদের জন্য সবচেয়ে উপযোগী?
গবেষকেরা বলছেন, এই ব্রেন ইমপ্লান্ট পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা বাক-অক্ষম রোগীদের জন্য একটি বিপ্লবী প্রযুক্তি হতে পারে। কারণ এটি কেবল চিন্তার মাধ্যমেই তথ্য লিখে যোগাযোগ করতে সাহায্য করবে, কোনও কীবোর্ড বা কলম ছাড়াই।
যেভাবে কাজ করে MiBMI
এই ইমপ্লান্টে ব্যবহৃত হয়েছে উন্নত মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম এবং এক নতুন ধরণের সংকেত বিশ্লেষণ পদ্ধতি, যা মস্তিষ্কের জটিল নিউরাল সিগন্যালকে সহজে বোঝার ক্ষমতা রাখে।
বর্তমানে MiBMI মোট ৩১টি অক্ষর শনাক্ত করতে পারে। তবে গবেষকেরা জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে এটি ১০০ অক্ষর পর্যন্ত পড়তে পারবে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
MiBMI শুধু লেখার সংকেতই নয়, শব্দ, নড়াচড়া ও অন্যান্য নিউরাল প্যাটার্নও শনাক্ত করতে পারে। গবেষকেরা আশা করছেন, এটি ভবিষ্যতে মৃগী, স্ট্রোক, বাকদোষ, পারকিনসন্সসহ বিভিন্ন স্নায়বিক রোগের চিকিৎসা ও পূর্বাভাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
২ জন পুরুষের মধ্যে একজন মহিলার স্বামী, ১০ সেকেন্ডে উত্তর দিলেই আপনি জিনিয়াস
এই উদ্ভাবন নিঃসন্দেহে এক নতুন যুগের সূচনা করছে, যেখানে শুধুমাত্র চিন্তার মাধ্যমেই লেখা যাবে — প্রযুক্তির জগতে যা এক সায়েন্স-ফিকশন কল্পনাকেও বাস্তবে পরিণত করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।