জুমবাংলা ডেস্ক : আজ বুধবার সকালে চালু হয়েছে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বরের স্টেশনটি। এই স্টেশনেও এখন থেকে যাত্রাবিরতি দেওয়া হবে। আজ সকালে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশন (দিয়াবাড়ি) পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লেগেছে মাত্র ৯ মিনিট। যাত্রাপথে মাঝে পল্লবী (উত্তরা-১২ নম্বর) এবং উত্তরা সেন্টার স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রাবিরতি দেয়। দুটি স্টেশনের ট্রেনটি প্রায় এক মিনিট থেমে যাত্রী উঠানামা করায়।
মিরপুর থেকে উত্তরা যেতে ট্রেনটির সর্বোচ্চ প্রতি ছিল ঘণ্টায় ৯৩ কিলোমিটার। উত্তরা সেন্টার স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনের যাওয়ার পথে ট্রেনের এমন গতি দেখা যায়। এ ছাড়া বাকি পথ ট্রেনটি ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ছুটেছে। বাঁকা পথে ট্রেনের গতি ৪০ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ছুটতে দেখা গেছে।
তবে স্টেশনটি চালুর প্রথম দিনে টিকিট কাউন্টার (দ্বিতীয় তলা) এবং ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার চলন্ত সিঁড়ি বন্ধ ছিল। স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের একজন সাংবাদিকদের জানান, প্রথমে চালু ছিল। পরে সকাল ৯টার দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে ট্রেনের টিকিট কাটার যন্ত্রেও ভাংতি টাকা ছিল না। স্কাউটসের সদস্যরা যাত্রীদের যন্ত্রে ভাংতি টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে বলছিলেন। এ নিয়ে একজন স্কাউট সদস্য বলেন, আজ প্রথম দিন। টিকিট বিক্রয় যন্ত্রে ভাংতি টাকা নেই। আজ যাত্রীদের কাছ থেকে ভাংতি টাকা নেওয়া হচ্ছে। পরের দিন থেকে আর ভাংতির সমস্যা হবে না।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের স্টেশনগুলো চালু হওয়ায় ট্রেনের যাত্রী বাড়তে শুরু করেছে বলে মেট্রোস্টেশনের আনসার, রোভার স্কাউটসের সদস্যরা জানিয়েছেন।
উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে এখন পর্যন্ত মাঝের তিনটি স্টেশন চালু হয়েছে। এর মধ্যে উদ্বোধনের পর গত ২৫ জানুয়ারি পল্লবী স্টেশন, ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরা সেন্টার স্টেশন এবং সবশেষ মিরপুর-১০ স্টেশন আজ চালু করা হলো। এ ছাড়া চলতি মার্চের মধ্যেই উত্তরা-আগারগাঁও অংশে থাকা বাকি স্টেশনগুলো অর্থাৎ পুরো ৯টি স্টেশনই চালু করা হবে বলে জানা গেছে।
অবৈধ ইটভাটা ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ডিসিদের নির্দেশ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।