জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অস্বাভাবিক সময় পার করছে দেশ। হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার প্রেতাত্মারা এখনও রয়ে গেছে। দেশকে তারা অস্থিতিশীল করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। তবে তরুণদের সামনে তারা সফল হবে না। মাথা ঠান্ডা রেখে সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ব্যর্থ করতে হবে।
শনিবার (১০ মে) বিকাল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম নগরের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড মাঠে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন-যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
বাংলাদেশের প্রশ্নে বিএনপি আপসহীন জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারেক রহমান বলেছিলেন ফয়সালা হবে রাজপথে। সেই ফায়সালা রাজপথেই হয়েছে। ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সবাই আন্দোলন করছে। দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে দেখতে চায় না। কারণ আওয়ামী লীগ বাকশাল করেছিল। দেশে স্বাধীনতা বলে কিছু ছিল না’।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছেন গণতান্ত্রিক দেশের জন্য, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন। তারেক রহমান আধুনিক বাংলাদেশ করতে চান। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে কিছু চাই না। এ জন্য তারেক রহমান বলেছেন সবার আগে বাংলাদেশ। তিনি বলেছেন ফয়সালা হবে রাজপথে, সেটাই হয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের, আমাদের দেশকে একটি গণতান্ত্রিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে যাদেরকে দায়িত্বে দিয়েছি, তারা এখনো সঠিকভাবে সেই কাজটা করতে পারছেন না। ফলে মাঝে মাঝে বিভিন্ন রকমের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সে সমস্যা গুলো তাদেরকে আরো শক্তিশালী করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রথম সংস্কার করেছেন জিয়াউর রহমান, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, অর্থনীতির আজকে যে ভিত্তি গার্মেন্টস সেক্টর সেটাও জিয়াউর রহমানের অবদান। কেয়ারটেকার ব্যবস্থা এনেছেন খালেদা জিয়া। আজকে সবাই সবকিছু ভুলে যায়, বিদেশ থেকে এসে বড় বড় কথা বললে, মানুষ ভুলে যাবে তাই না।
তিনি বলেন, আমাদের তরুণরা ব্যবসা চায়, চাকরি চায়। তরুণ সমাজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শান্তি চায়। একটা গণতান্ত্রিক দেশ চায়, যে যার কথা বলবে। আমরা সে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আজকে তারুণ্যের সমাবেশের একটা উদ্দেশ্য, তরুণরা আবার জেগে উঠো সমস্তকে চক্রান্ত ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হবে। যেখানে মানুষ মানুষকে ভালোবাসবে, মাথা উঁচু থাকবে দেশের। বাংলাদেশের পতাকাটা উড়বে পতপত করে। ওয়াসিমের রক্তের বিনিময়ে আমাদের নতুন স্বাধীনতা। তাকে পাঠ্য পুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান নাজিম প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।