বিনোদন ডেস্ক : ফেসবুকে বেশ সক্রিয় ঢাকাই ছবির একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানী। শুধু সিনেমা সংশ্লিষ্ট পোস্টই করেন না তিনি, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, ধর্মীয় বিষয় নিয়েও লেখেন ‘চাঁদের আলো’খ্যাত নায়ক। এসব পোস্টের কোনোটি বিতর্ক বা আলোচনার জন্ম দেয়।
গত ১৬ আগস্টে দেওয়া এ নায়কের একটি পোস্ট বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মন্তব্যের ঘরে অনেকে লিখেছেন— বর্তমান সময়ের শক্তিশালী খলঅভিনেতা মিশা সওদাগরকে খোঁচা মেরেছেন সানী।
মূলত ওই পোস্টে মিশা সওদাগরকে বাদ রেখে ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় বেশ কয়েকজন খলঅভিনেতার নাম লেখেন ওমর সানী, যে কারণে এমনটি মনে করা হচ্ছে।
নব্বই দশকের জনপ্রিয় এ নায়কের পোস্টটি এ রকম— ‘বাংলা চলচ্চিত্রের খলচরিত্র যদি বিশ্লেষণ করি, তা হলে রাজু আহমেদ, খলিল, মোস্তফা, এটিএম শামসুজ্জামান, আহমেদ শরীফ, রাজিব, হুমায়ুন ফরিদী (স্যার)… তার পর একটা বিশাল শূন্যতা কবে পূরণ হবে কেউ জানে না।’
প্রশ্ন উঠেছে— তবে কি গত দুই যুগ ধরে ঢাকাই সিনেমা দাপিয়ে বেড়ানো মিশা সওদাগর কি তার পূর্বসূরিদের অভাব পূরণ করতে পারেননি? তিনি কি অভিনেতা হিসেবে দর্শকপ্রিয় নন?
যদিও বর্তমানে খলঅভিনেতা হিসেবে মিশা সওদাগর অপ্রতিদ্বন্দ্বী বলা চলে। খলঅভিনেতা হিসেবে সর্বাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন মিশা, তার সাফল্যও আকাশচুম্বী। এর পরও কেন তার নামটি উল্লেখ করেননি সানী! নাকি ভুলে গেছেন।
তবে অনেকের মতে, অভিনেতা ও প্রযোজক অনন্ত জলিলের সঙ্গে মিশার সাম্প্রতিক বিতর্কের কারণেই তার নাম বাদ দিয়েছেন সানী।
ওমর সানী অবশ্য বলেছেন, আমি আমার দৃষ্টিকোণ থেকে সর্বকালের সেরা কয়েকজনের নাম বলেছি। সবাই আমার কাছে ভালো। তবে কয়েকজন তো একটু আলাদা হবে।
এ বিষয়ে মিশার কোনো বক্তব্য কিংবা মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি ‘দিন-দ্য ডে’ সিনেমা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে অনন্ত জলিলের সঙ্গে মিশার সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। দুপক্ষ থেকেই জবাব-পাল্টা জবাব চলছে।
‘দিন-দ্য ডে’র মতো সিনেমা দিয়ে দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কোনো লাভ হয়নি মন্তব্য করে এ সিনেমার অভিনেতা অনন্ত জলিলকে ‘সৌখিন’ নায়ক ও প্রযোজক দাবি করেন মিশা।
মিশার এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হন অনন্ত জলিল। তিনি পাল্টা প্রশ্ন রাখেন— ‘চলচ্চিত্রের উন্নয়নে মিশার কোনো অবদানই নেই। তিনি আমার ছবি নিয়ে বলার কে?
পাল্টা জবাবে মিশা জানান, অনন্ত জলিল তার বক্তব্য ভুল বুঝেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।