আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ‘নিখোঁজ’ বিমান এমএইচ-৩৭০ নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। ঘটনার ৯ বছর পর এসে এখনও বিষয়টি নিয়ে প্রতিনিয়তই মেলে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য, যদিও তা যাচাই করা কঠিন। এবার গুগল ম্যাপে মালয়েশিয়ার ‘নিখোঁজ’ এমএইচ-৩৭০ বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়ার দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়ান উইলসন নামের ওই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন যে, কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ‘গায়েব’ হয়ে যাওয়া ওই বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে কম্বোডিয়ার এক গহীন জঙ্গলে।
ইয়ান উইলসন বলেছেন, ‘আমি কয়েক ঘন্টা সেখানে (গুগল আর্থ) ছিলাম। বিমানটি কোথায় গিয়ে পড়তে পারে তা অনুসন্ধান করতে আমি ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করেছি। এবং শেষ পর্যন্ত, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বিমানটি কোথায় রয়েছে… এটি আক্ষরিক অর্থে সবচেয়ে সবুজ, অন্ধকার অংশ (জঙ্গলের)।’
এদিকে নিখোঁজ ফ্লাইট এমএইচ-৩৭০ এর রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছেন একদল ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞও। তারা সেই জায়গাটির নামও প্রকাশ করেছেন, যেখানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে ‘নিশ্চিত’ তারা।
সংবাদমাধ্যম দ্য সান এবং ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ওই বিশেষজ্ঞ দলের নতুন ২২৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি এমএইচ-৩৭০ ফ্লাইটের বর্তমান অবস্থান সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে। গেল বুধবার (৩০ আগস্ট) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
এতে দাবি করা হয়েছে, বিমানের ধ্বংসাবশেষ অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে প্রায় ১৫৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে একটি এলাকায় থাকতে পারে। ‘ডব্লিউএসপিআর’ নামে পরিচিত রেডিও প্রযুক্তির সাহায্যে এর অবস্থান শনাক্তের দাবি করেছেন গবেষক রিচার্ড গডফ্রে, ড. হ্যানেস কোয়েটজি এবং অধ্যাপক সাইমন মাসকেল।
যদিও তাদের এমন দাবির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এমএইচ-৩৭০ ছিল একটি বোয়িং ৭৭৭ বিমান। ২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বিমানটি। আকাশে ওড়ার প্রায় ৩৮ মিনিট পর সেটির সঙ্গে যোগাযোগ করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)। সেই সময় বিমানটি দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর দিয়ে উড়ছিল।
এর কয়েক সেকেন্ড পরই বিমানটির সঙ্গে এটিসির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক পর মালয়েশিয়া সেনাবাহিনীর রাডারে ধরা পড়ে বিমানটি। তবে নিয়মিত চলাচলের পথ থেকে পশ্চিম দিকে সরে তখন সেটি মালয় উপদ্বীপ ও আন্দামান সাগর অতিক্রম করছিল।
এরপরই চিরতরে হারিয়ে যায় ফ্লাইট এমএইচ-৩৭০। দক্ষিণ চীন সাগর ও আন্দামান সাগরে তল্লাশি করলেও, বিমানটির খোঁজ মেলেনি আর।
বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তদন্তকারীরা এ নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন। সবশেষে এ সংক্রান্ত দেড় হাজার পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা সত্ত্বেও তারা স্বীকার করেছেন যে, বিমানটির ভাগ্যে আসলে কী ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।