মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীতে ডুবে যাওয়া এক গর্ভবতী নারী ও এক শিশুর এখনো সন্ধান মেলেনি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পাটুরিয়া স্টেশনের লিডার জাহিদুল ইসলাম জানান, যমুনায় প্রচণ্ড স্রোতের কারণে নিখোঁজদের উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দুই দিন ধরে চেষ্টা চালিয়েও তাঁদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, স্রোতের টানে তাঁরা অনেক দূরে ভেসে গেছে।’
নিখোঁজ দুইজন হলেন—বর্ষা খাতুন (২০), যিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এবং লামিয়া খাতুন (১০)। তাঁরা মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা গ্রামের বাসিন্দা। বর্ষার বাবার নাম মো. আব্দুল বয়াতী এবং লামিয়ার বাবার নাম মো. রাহেজ বয়াতী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১১ জুন) দুপুর ২টার দিকে পাঁচজন নারী ও শিশু মিলে যমুনা নদীতে গোসলে নামেন। হঠাৎ পানির প্রবল স্রোতে তাঁরা তলিয়ে যেতে থাকেন। স্থানীয়রা তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও বর্ষা ও লামিয়াকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরে স্থানীয়রা নিজেরা সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীতে খোঁজ চালান। বিকেল ছয়টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তা চান। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রাত আটটা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে ওইদিনও নিখোঁজদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে উদ্ধার অভিযান আবার শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চেষ্টা চালানোর পর উদ্ধারকারী দল অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে।
ঘটনার পর থেকেই এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা বারবার নদীর পাড়ে ছুটে এসেছেন কোনো খোঁজের আশায়, কিন্তু ফিরে গেছেন হতাশ হয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।