লাইফস্টাইল ডেস্ক : বেঁচে থাকার জন্য পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কথা কারও অজানা নয়। তবুও অনেক সময় আমরা শরীরের যথোপযুক্ত আদ্রতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ অনুযায়ী পানি পান করি না। পানি পানের আমরা একটি সাধারণ পরামর্শ শুনে থাকি তা হলো, প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। কিন্তু শুধু পর্যাপ্ত পানি পান করলেই হবে না। আমরা অনেকেই পানি পানের সময় কিছু সাধারণ ভুল করে থাকি যা আমাদের সমস্যায় ফেলতে পারে।
জেনে নিন পানি পানের সময়ে যেসব ভুল একেবারেই করবেন না-
১. ঢকঢক করে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি একেবারেই খাবেন না। ফ্রিজের পানি বা বরফ মেশানো পানি একই। খুব গরমে অস্বস্তি হলে ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় থাকা পানিতে সামান্য ফ্রিজের পানি মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে, তা-ও যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো।
২. খাবার খাওয়ার সময়ে পানিপান করেন কি? এই অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। খাবার খাওয়ার সময়ে শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে। এই সময়ে পাকস্থলী থেকে বিভিন্ন রস নিঃসৃত হয়, যা খাবারকে হজম করাতে সাহায্য করে। এই সময়ে বেশি করে পানি খেলে, হজমের প্রক্রিয়াটাই বাধা পাবে। ফলে পেট ফাঁপা, বমি ভাব, গ্যস-অম্বলের সমস্যা বাড়বে।
৩. বোতল থেকে নয়, বরং গ্লাসে করে পানি খান। আর পানি খাওয়ার সময় এক জায়গায় সুস্থির হয়ে বসতে হবে। হাঁটাচলা করতে করতে কিংবা অস্থির অবস্থায় পায়চারি করার সময়ে পানি খাবেন না। এর ফলে গলায় বা নাকে পানি আটকে আপনার বিষম লাগতে পারে।
৪. যতই তৃষ্ণা থাক, পানি ঢকঢক করে নয় বরং ধীরেসুস্থে পান করা উচিত। না হলে শ্বাসনালিতে পানি চলে যেতে পারে।
৫. কখন পানিপান করছেন, তা-ও গুরুত্বপূর্ণ। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানিপান করা সবচেয়ে ভালো। দাঁত মাজার আগেই পানি খেয়ে নিন। এই অভ্যাস করলে অম্বলের সমস্যা কমবে, হজমশক্তি বাড়বে। খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে ও খাওয়ার ১ ঘণ্টা পরে পানিপান করা উচিত।
৬. বাড়িতে খাওয়ার পানি সব সময়ে কাচ, স্টিল বা মাটির পাত্রে রাখুন। প্লাস্টিক বা অন্য কোনও পদার্থ ব্যবহার না করাই ভালো। তামার পাত্রেও পানি রাখতে পারেন। তামা বা মাটির পাত্র থেকে পানি খাওয়া খুবই স্বাস্থ্যকর।
৭. পানি যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই পান করুন। তিন লিটার বা তার বেশি পানিপান করতে হবে, এই হিসেব করে দিনভর ঢকঢক করে পানি খেয়ে গেলে কিন্তু সমস্যা বাড়বে। কম পানি খেলে যেমন শরীরের ক্ষতি হবে, তেমনই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানিপানে ‘ওভারহাইড্রেশন’ হবে। তখন হাত-পা ফুলে যাওয়া, খিঁচুনি বা কিডনির রোগও হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।