বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর জীবন সম্পর্কিত অনেক গল্পই খুব বিখ্যাত। এমনই একটি গল্প হল ‘গলিওকে বাদশা’ সিনেমার সেটে, যখন হেমা মালিনী, মিঠুন চক্রবর্তীর ওপর রেগে গিয়ে বেশ তোলপাড় করেছিলেন। আসলে তখন হেমা মালিনী ও মিঠুন চক্রবর্তী বড় তারকা ছিলেন, কিন্তু হেমার মালিনীর তুলনায় মিঠুন চক্রবর্তীর স্টারডম কম ছিল।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, যখন সিনেমার শুটিং শুরু হয়, তখন দুজনের মধ্যে একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিং হয়। শুটিং শেষ হলে মিঠুন চক্রবর্তী, সেই সিনেমার পরিচালক শের জং সিংকে, হেমা মালিনীর কিছু দৃশ্য সরিয়ে সিনেমাতে তাঁর দৃশ্য বেশি দেখাতে বলেন। পরিচালক রাজি হন এবং অন্তরঙ্গ দৃশ্যটি কেটে দেন। বিষয়টি হেমার কানে পৌঁছতেই তিনি সেটেই পরিচালক ও মিঠুনকে লক্ষ্য করে চিৎকার করতে থাকেন।
হেমা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, যখন অন্তরঙ্গ দৃশ্য রাখার কথাই ছিল না, তাহলে শুটিং করা হলো কেন। পরিচালক ব্যাখ্যায় বলেন যে, যেসব দৃশ্যের প্রয়োজন ছিল না, সেগুলো সরানো হয়েছে। হেমা মালিনী তখন বলেন, তিনি জানেন পরিচালকের সাঠে মিঠুনের কি কথা হয়েছে এবং কেন তাঁর দৃশ্যগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এরপরও রাজি হননি হেমা। এই সিনেমার দ্বিতীয় নায়ক রাজকুমারের কাছে এই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন হেমা।
রাজকুমার একবার হেমার প্রেমে পড়েছিলেন এবং তাঁকে বিয়েও করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। হেমাকে মন খারাপ দেখে রাজকুমার আর থাকতে পারলেন না, তাই সেটে পরিচালককে অনেক বকাবকি করলেন। এই ঘটনার পর অনেক মাস মিঠুন ও হেমার মধ্যে কথাবার্তা বন্ধ থাকলেও সময়ের সাথে সাথে দুজনের মধ্যে মিটমাট হয়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।