বিনোদন ডেস্ক : রাজনৈতিকভাবে তাদের অবস্থান সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুতে। তবে অভিনেতা-সাংসদ দেবের সঙ্গে বিজেপির মিঠুন চক্রবর্তীর সম্পর্কটা পারিবারিক। তাই তো দেবের সব আবদার অচিরেই মেনে নেন ‘মহাগুরু’। দেবের হাত ধরেই দীর্ঘদিন পর বাংলার পর্দায় ফিরছেন মিঠুন চক্রবর্তী। পরিচালক অভিজিৎ সেনের ‘প্রজাপতি’তে বাবা-ছেলের ভূমিকায় দেখা যাবে দুই তারকাকে। বাস্তবেও প্রচণ্ড স্নেহশীল সম্পর্ক তাদের।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে ‘প্রজাপতি’র শুটিং-এ শহরে এসেছিলেন মিঠুন। এরপর গত কয়েকদিনে রাজনীতির ময়দানেও দাপিয়ে বেরিয়েছেন তিনি। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় খানিকটা কোণঠাসা তৃণমূল। এর মাঝেই মিঠুন চক্রবর্তী বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন বুধবার।
জানান, ৩৮ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখেছে। মহাগুরুর এই মন্তব্যে যখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি, তখনই তৃণমূল সাংসদের বাড়িতে হাজির তিনি।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মিঠুনের সঙ্গে নিজের বাবা-মা, গুরুপদ অধিকারী ও মৌসুমী অধিকারীর একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবি দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না, ছবিটি দেবের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে তোলা।
দেবের বাবার কাঁধে হাত দিয়ে দাড়িয়ে রয়েছেন মিঠুন, নায়কের মা সামনে সোফায় বসে। তিনজনেই হাসিমুখে পোজ দিচ্ছেন। ছবির ক্যাপশনে দেব লিখেছেন, ‘প্রজাপতির কলকাতা শেডিউল শেষ, এবার ডেস্টিনেশন বারাণসী’।
দেবের পরিবারের সঙ্গে মিঠুনের আলাপ বহুযুগের। তখন বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যাটারার হিসাবে কাজ করতেন দেবের বাবা। এই সম্পর্কে আজও তাই রাজনীতির রং লাগেনি।
প্রজাপতি-র শ্যুটিং সেটে দিন কয়েক আগেই দেব স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘আমি সব সময় বলি যে দল মানুষের জন্য কাজ করবে তাকেই ভোট দেওয়া উচিত, মিঠুনদাও সেটাই চান। আর ৮ বছর ধরে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি আমার রাজনৈতিক সত্ত্বাটাকে অভিনয় সত্ত্বা থেকে আলাদা রাখতে’।
শুধু অভিনয় নয়, ‘প্রজাপতি’র যৌথ প্রযোজকের ভূমিকায় রয়েছেন দেব। দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চার্স ও অতনু রায়চৌধুরীর প্রযোজনা সংস্থা বেঙ্গল টকিসের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে এই ছবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।