লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রাচীন আতর থেকে হাল ফ্যাশনের বডি স্প্রে বা পারফিউম যাই হোক না কেন, দিন দিন সুগন্ধির কদর বাড়ছে বই কমছে না। শরীরের দুর্গন্ধ এড়াতে আর বাতাসে সুগন্ধের রেশ ছড়িয়ে দিতে মানুষ সুগন্ধি বা পারফিউম ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এই পারফিউম ব্যবহারই হতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ।
দেশ-বিদেশের নামিদামি পারফিউমের মধ্যেই কোনো পারফিউম কেড়ে নিতে পারে আপনার প্রাণ। ভাবছেন কীভাবে? চিকিৎসকরা বলছেন, বিশেষ ধরনের কিছু সুগন্ধিতে রয়েছে বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান এবং গ্যাস।
এসব রাসায়নিক উপাদান এবং গ্যাসই ডেকে নিয়ে আসতে পারে হঠাৎ মৃত্যুকে। এদিকে সমীক্ষা বলছে, বিশেষ উপাদান ও গ্যাসের এমন পারফিউম হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে ওঠে কারো কারো ক্ষেত্রে। এমন পারফিউম ব্যবহার থেকে মৃত্যুর ঘটনার নজির রয়েছে পৃথিবীতে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, সবশেষ ২০২২ সালের মে মাসে ইংল্যান্ডের ডার্বি শহরের এক দম্পতির ১৪ বছর বয়সী মেয়ের মৃত্যু হয় এই সুগন্ধি বা পারফিউম ব্যবহারে।
১৪ বছরের কিশোরী জর্জিয়া গ্রিন অন্যসব দিনের মতোই গোসল সেরে, পোশাক পরার আগে গায়ে সুগন্ধি মেখেছিল। সে সময় টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের দৃশ্য দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ঘরেও সুগন্ধি ছড়ানোর কথা মাথায় আসে তার। এরপর যা হওয়ার তা-ই হলো। বদ্ধঘরে পারফিউমের বিশেষ রাসায়নিক উপাদান ও গ্যাস নিশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে জর্জিয়ার।
কিছুক্ষণের মধ্যেই অটিজমে আক্রান্ত জর্জিয়া হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ে। পাশের ঘর থেকে বাবা-মা কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জর্জিয়ার রুমে ছুটে যান।
অচেতন মেয়েকে ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখে প্রথমে তাকে বিছানায় শুইয়ে দেন। মেয়ের নিশ্বাস আর পালস খুঁজে না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে তখনই হাসপাতালে নেয়া হয় জর্জিয়াকে।
দায়িত্বরত চিকিৎসক জর্জিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে জানা যায়, শরীরে পারফিউমের রাসায়নিক উপাদান ও গ্যাসের অস্তিত্ব, যা মুহূর্তেই জর্জিয়ার হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে উঠেছিল।
তাই রাসায়নিক উপাদান পরিমাণে কম ও গ্যাসমুক্ত পারফিউম ব্যবহার প্রাণনাশের কারণ হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পারফিউমও ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
পারফিউম ব্যবহার করার সময় নাক থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে শরীরে পারফিউম ব্যবহার করার কথাও বলেছেন তারা। অ্যালার্জির সমস্যা, শ্বাসকষ্ট কিংবা হৃদ্রোগ রয়েছে এমন কারো পারফিউম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত বলে মনে করেন তারা। এ ছাড়া এ-জাতীয় প্রসাধনীগুলো শিশুদের হাতের নাগাল থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা উচিত বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।