dhcbবিনোদন ডেস্ক : অনুষ্ঠান করতে করতে কেন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন কেকে? প্রচণ্ড গরম, ভিড় এগুলোই কি আসল কারণ? চিকিৎসকরা বলছেন, না। সমস্যা একদিনের নয়, কেকের হৃদযন্ত্রে মারণরোগ বাসা বেঁধেছিল আগে থেকেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসতেই কপালে ভাঁজ চিকিৎসকদের।
দেখা গেছে, কেকের হৃদপিণ্ডের চারপাশে পুরু মেদের আস্তরণ। সেটি সাদা হয়ে গিয়েছিল। হৃদপিণ্ডের মোড়ক খুলতেই দেখা যায় ভাল্বকাগুলো অস্বাভাবিক রকম শক্ত হয়ে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে সেই খবর সামনে এসেছে বৃহস্পতিবার।
শুধু তাই নয়, কেকের শরীরে ১০ রকম হজমের ওষুধ এবং ভিটামিন সি পাওয়া গেছে। হজমের সমস্যার জন্য কেকে নিয়মিত মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড এবং গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতেন বলেও জানা গেছে। তার রক্তেও সেই নমুনা পাওয়া গেছে। কেবল অ্যালোপ্যাথি নয়, আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথি ওষুধেরও হদিস মিলেছে প্রয়াত গায়কের পাকস্থলিতে।
অভ্যন্তরীণ প্রত্যঙ্গের খুঁটিনাটি পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে আরও বিশদে যেতে চাইছেন চিকিৎসকরা। কেকের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নমুনা হিস্টোপ্যাথলজিকাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। হিস্টোপ্যাথোলজি হল কোষের বিশদ পরীক্ষা, যেখানে যাবতীয় অস্বাভাবিকতা, ব্লক জনিত ত্রুটি খতিয়ে দেখা যাবে।
ডাক্তাররা বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদপিণ্ডে কাঠিন্য দেখা যায়। তবে কেকের হৃদপিণ্ডের যে চেহারা ধরা পড়েছে তা স্বাভাবিক নয়। কোথায় কোথায় ধমনীর পথ আটকে গিয়েছিল সেসব জানতে হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩১ মে সকালে কেকে তার ম্যানেজারকে বলেছিলেন শরীরে জোর পাচ্ছেন না। সেই রাতেই, অর্থাৎ মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে, তিনি স্ত্রীকে বলেছিলেন, “কাঁধ এবং বাহু টনটন করছে।” সেই অবস্থাতেই মঞ্চে ওঠেন কেকে।
অসুস্থ অবস্থাতেই অনুষ্ঠান করে যান। তারপর অনুষ্ঠান শেষে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হোটেলে ফিরে সোফায় বসতে গিয়ে মেঝেতে বসে পড়েন গায়ক। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।