জুমবাংলা ডেস্ক : মিশ্র ফল চাষে তরুণ উদ্যোক্তা রবিউলের সাফল্য। প্রথমে তরমুজ চাষ দিয়ে শুরু করে এখন তিনি কমলা, কুল, আম, জামরুল, কদবেল, লেবু, লিচুসহ ৪৬ জাতের ফল চাষ করছেন। তার এই বাগান দেখতে আশের পাশের অনেক মানুষ প্রতিদিন ভিড় করেন। বর্তমানে তিনি তার বাগান থেকে প্রতি বছরেই কয়েক জাতের ফল বিক্রি করে লাখ টাকা আয় করেন।
জানা যায়, তরুণ উদ্যোক্তা রবিউল ইসলাম জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ভারাহুত গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ফসলি জমিকে উঁচু করে সেখানে বিষমুক্ত ফলের বাগান গড়ে তোলেন। তিনি তার বাগানের ৩ বিঘায় বল সুন্দরী, ভারত সুন্দরী, কাশ্মীরি আপেল কুল, সিডলেস, টক-মিষ্টি ও বাউকুলের বাগান করেছেন। আরও তিন বিঘা জমিতে দার্জিলিং কমলা, চায়না কমলা, বারি-১ জাতের মাল্টা, কাটিমন আম, বানানা ম্যাঙ্গো, বারি-৪ আম, গৌড়মতি আম, ব্ল্যাক ম্যাঙ্গো, আম্রপালি, সূর্য ডিম, থাই সফেদা, থাই শরিফা, মিষ্টি জলপাই, মিষ্টি তেঁতুল, রাম বুটান, লিচু, জামরুল, কদবেল, জাম, সিডলেস লেবুসহ ৪৬ জাতের ফলের বাগান গড়ে তুলেছেন। তার এই পরিমিত বাগানটি দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভিড় করেন।
রবিউল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় তরমুজ চাষ শুরু করি। তখন মালচিং পদ্ধতিতে ১৪ শতাংশ জমিতে বারোমাসি তরমুজের চাষ করি। তরমুজ চাষে ভালো ফলন পেয়েছিলাম। ৯ মাসে ৩ বারে সাড়ে ৩ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছিলাম।
তিনি আরো বলেন, তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এর পরের বছর ২ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে প্রায় ৮ লাখ টাকা লাভ করি। ২০২১ সালে প্রথম ৩ বিঘা জমিতে বরইয়ের বাগান করি। মাত্র ৬ মাসেই বরইয়ের ফলন পেয়ে যাই। তারপর আরো ৩ বিঘা জমিতে অন্যান্য আরো ফলের চাষ শুরু করি।
রবিউল আরো বলেন, ২০২২ সালে বাগান থেকে ৩ লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছি। আশা করছি এবছর আরো ২ লাখ টাকার বিক্রি করতে পারবো। এছাড়াও ১ লাখ টাকার কাটিমন জাতের আম ও পেয়ারা বিক্রি করেছি। আশা করছি আরো প্রায় ৫ লাখ টাকার বিভিন্ন জাতের ফল বিক্রি করেছি।
পাইকার সাগর হোসেন বলেন, আমি রবিউলের বাগান থেকে বরই ও পেয়ারা কিনতে এসেছি। রবিউল ইসলামের বাগানের ফল বিষমুক্ত ও সুস্বাদু হওয়ায় তার বাগানে ফল কিনতে এসেছি।
স্থানীয় তরুণ মিলন সরকার বলেন, রবিউলের ফলের বাগান দেখে আমিও ১৫ কাঠা জমিতে বরই ও পেয়ারার বাগান করেছি। ইতোমধ্যে ২৫ হাজার টাকার বরই বিক্রি করেছি। আশা করছি আরো ১ লাখ টাকার বরই ও পেয়ারা বিক্রি করতে পারবো।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, মিশ্র ফলের বাগান করে রবিউল ইসলাম সফল হয়েছেন। তরুণ হিসেবে তার এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবীদার। কৃষি বিভাগ থেকে তাকে সার্বক্ষণিক সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।