আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অর্থ, অস্ত্র, সরঞ্জাম এবং জেট জ্বালানী সরবরাহকারী আটটি সংস্থার পাশাপাশি ক্রোনি ও মিলিশিয়া নেতাসহ ছয়জন ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও কানাডা।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ‘সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে’ এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।
এর আগে গত আগস্টে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা জোরদার করে কয়েক ডজন বেসামরিক নাগরিক হত্যার পরও কিছু ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
নিতুন নিষেধাজ্ঞায় মিয়ানমারের জান জান্তা শিল্পমন্ত্রী চার্লি থান, তার সহযোগী নে অং এবং উইন কিয়াও কিয়াও অংকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে কানাডা সরকার। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ অব এন্টারপ্রেনার্স (আইজিই), সোয়ান এনার্জি কোম্পানি (এসইসি), রয়েল শুন লেই (আরএসএল) এবং কিং রয়্যাল টেকনোলজিস (কেআরটি) নামক চারটি প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য সরকার মিয়ানমারের এশিয়া সান গ্রুপ (এএসজি), এসইসি, মিয়ানমার অয়েল (এমওসি), রিচ রে ট্রেডিং (আরআরটি) এবং প্রোগ্রেস টেকনোলজি সাপোর্ট (পিটিএস) ওরফে রয়্যাল শুন লেই নামক পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
কানাডা ও যুক্তরাজ্য বলছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো জান্তা সরকারের সংঘটিত আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনে অবদান রেখেছে।
মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিস ফর মিয়ানমার (জেএফএম) জানিয়েছে, জান্তার বিমান হামলা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় এভিয়েশন ফুয়েল আমদানি, মজুদ ও বিতরণের দায়িত্বে রয়েছে এএসজি। সোয়ান এনার্জি এএসজি’র সহযোগী। জেএফএম বলেছে, উভয় কোম্পানিই জান্তার নির্বিচার বিমান হামলা থেকে মুনাফা অর্জন করেছে এবং যুদ্ধাপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।
অপরদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জান্তা বর্ডার গার্ড ফোর্সের (বিজিএফ) নেতা কর্নেল সো চিত থু, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোট থুন এবং মেজর টিন উইনকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। তাদের কোম্পানি চিট লিন মিয়াইং গ্রুপকেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।