জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরের চাষিদের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে। আমদানি নির্ভরতা কমাতে ব্যাপকভাবে পেঁয়াজের চাষ করছেন চাষিরা। তেমনি পেঁয়াজ চাষে সফল হয়েছেন নাটোরের কৃষক মিজান।
জানা যায়, কৃষক মিজানুর রহমান নাটোর নলডাঙ্গা উপজেলার বহ্মপুর ইউনিয়নের সড়কুতিয়া গ্রামের বাসিন্দা। চলতি বছর তিনি ১৭ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে সফল ভালো ফলন পেয়েছেন। তিনি নাসিক-এন ৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছেন। বর্তমানে তার উৎপাদিত পেঁয়াজ ও পেঁয়াজের পাতা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। তার সফলতা দেখার পাশাপাশি অন্যান্য আরো কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, এবছর আমি ১৭ বিঘা জমিতে নাসিক-এন ৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছি। রোপনের পর ৮৫-৯০ দিন সময় লেগেছে পেঁয়াজ উত্তোলনের উপযুক্ত হতে। ইতোমধ্যে ৫ কাঠা জমির পেঁয়াজ উত্তোলন করেছি।
তিনি আরো বলেন, পেঁয়াজ চাষে আমার সাড়ে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫ কাঠা জমির পেঁয়াজ উত্তোলন করেছি। কাঠা প্রতি ৬ মণ ফলন পেয়েছি। বর্তমানে বাজারে ১০০০ টাকা মণ দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। পাশাপাশি পেঁয়াজের পাতা বিক্রি করেও বাড়তি আয় হচ্ছে।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফৌজিয়া ফেরদৌস বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে কৃষক মিজানুর পেঁয়াজ চাষ করেন। পেঁয়াজ চাষ করে তিনি সফল হয়েছেন। তার উৎপাদিত পেঁয়াজ ৪-৫ টিতেই এক কেজি ওজন হচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে তাকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ কিশোয়ার হোসেন বলেন, ভারত থেকে আমদানিকৃত এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ বীজ এই উপজেলার ১৮০ জনকে প্রদান করা হয়। কৃষকদের কৃষি বিভাগ থেকে চাষাবাদে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।