বিনোদন ডেস্ক : কঙ্গনা রানাউতের বির্তকিত শো লক আপের পর থেকেই বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন পাহাড়ী কন্য়া অঞ্জলি। এবার এমএমএস কান্ডে নাম জড়াল অঞ্জলির। একটি ভিডিও ভাইরাল হয় নেটপাড়ায় যেখানে দেখা যাচ্ছে ক্যামেরার সামনেই যৌ..ন..তা..য় মগ্ন মধ্য বয়স্ক পুরুষ ও এক তরুণী। ভিডিওটিতে ওই তরুণীর মুখের সঙ্গেই মিল খুঁজে পেয়েছেন নেটিজেনরা।
কঙ্গনা রানাউতের শো লক আপের মাধ্যমে লাইমলাইটে আসেন অঞ্জলি আরোরা। তার সঙ্গে মুনাওয়ার ফারুকির সম্পর্ক নিয়ে সেই সময় কম চর্চা হয়নি। তবে শো শেষ হতে না হতেই ইউ টার্ন নেন মুনাওয়ার। অঞ্জলির সঙ্গ ছেড়ে প্রেমিকার কাছেই ফিরে যান। দিন কয়েক আগেই একটি এমএমএস কাণ্ডে নাম জড়ায় অঞ্জলির। একটি ভিডিও ভাইরাল হয় নেটপাড়ায় যেখানে দেখা যাচ্ছে ক্যামেরার সামনেই যৌ..ন..তা..য় মগ্ন মধ্য বয়স্ক পুরুষ ও এক তরুণী। আর সেই তরুণীর সঙ্গে মিল ছিল অঞ্জলির। তারপর থেকেই বির্তকে নাম জড়ায় অঞ্জলির।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন এই প্রশ্নটা এড়িয়ে যান অঞ্জলি। তারপরই অঞ্জলিকে প্রশ্ন করা হয় ভিডিওতে ওই নারী অঞ্জলি কি না? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান কিছু মানুষ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করতে এই ধরনের ভিডিওতে ফটোশপ করে তাঁর নাম খারাপ করার চেষ্টা করছে। ওই ভিডিওতে তিনি ছিলেন না।
সাক্ষাৎকারে অঞ্জলি বলেন, “ওই ভিডিওতে একবারেই আমি ছিলাম না! ওরা একবার ভাবল না আমার বাড়ির উপরে কী প্রভাব পড়বে। আমারও তো পরিবার আছে। আমার পরিবারের লোক ও তো সব ভিডিও দেখে। আমার একটা ছোট ভাই আছে। আমার বয়স সবে ২১। একসময় এটা মেনে নেওয়া, এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলাম না আমি। একবারও কেউ ভাবল না আমার ইজ্জত নিয়ে খেলতে। এখন তো সবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে। কারও ছবি এডিট করে দিচ্ছে, কারওর ভিডিও। লোক এটাই মজা পাচ্ছে। এটাই ওদের কুল লাগছে। এরা একবারও ভাবে না ওদের মা-বোনদের সঙ্গে এরকম হলে কী হবে।” ওই সাক্ষাৎকারের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন অঞ্জলি।
অঞ্জলির এই এমএমএস ভিডিওটিকে ফের বলেই দাবী করেন। তিনি যখন ছিলেন লকআপের ফাইনাল উইকে সেই সময় ছড়ায় এই ভিডিও। লকআপ এ থাকাকালীন নিজের জীবনের বেশ কিছু সিক্রেট প্রকাশ্যে আনেন। যার মধ্যে অন্যতম ছিল ক্লাস ১১ এ তিনি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন সেই ফিনাইল খেয়ে নেন অঞ্জলিকেন এমন করেন তিনি ! অঞ্জলিির কথায় ১১, ক্লাসে বাঙ্ক করে অঞ্জলি গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাফেতে হুঁকা খেতে।
সেখানেই দাদার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় অঞ্জলির। সেই মুহূর্তে সকলের সামনেইঅঞ্জলিকে থাপ্পর মারেন তাঁর দাদা। এমনকি এই ঘটনা বাড়িতে বাবাকে বলতে বারণ করেন অঞ্জলি।তবে কোথা শোনেনি তাঁর দাদা। যার ফলে বাড়ি ফিরে বাবার কাছে বেধড়ক মার খেতে হয় তাঁকে। এক ঘণ্টা পর অঞ্জলির দাদা এসে দেখে অচৈতন্য অবস্থা ঘরে পড়ে রয়েছে অঞ্জলি।
কারণ ততক্ষণে সে ফিনাইল খেয়ে নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।তবে অঞ্জলি বলেন, “সেই যাত্রায় আমি বেঁচে যাই কারণ দরজা খুলে আমাকে ওইভাবে দেখে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যায় বাবা দাদা।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।