জুমবাংলা ডেস্ক : মব সহিংসতা ঠেকাতে মোবাইল অপারেটরদের কাছে আগাম সহযোগিতা চেয়েছে সরকার। এ ক্ষেত্রে ডেটা অ্যানালিটিকস এবং এআই’র মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ করে আগাম সতর্কবার্তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। যৌথভাবে কাজ করতে এরইমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের আশা, এই উদ্যোগের মাধ্যমে চলমান পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
গেল বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে। তাকে রক্ষা করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। সম্প্রতি পাশবিক নির্যাতনের পর এক নারীকে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লায়।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ৭০টি গণপিটুনির ঘটনায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন। মব সন্ত্রাস নিয়ে জনমনে বাড়ছে আতঙ্ক, উদ্বেগ। এমন বাস্তবতায় মব ঠেকাতে টেলিকম প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
মোবাইল ফোন সব সময় নিকটতম টাওয়ারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। টাওয়ারের মাধ্যমে হ্যান্ডসেটের সিগন্যাল তথ্য বিশ্লেষণ করে গ্রাহকের অবস্থান, গণসমাবেশ নির্ণয় করা যায়। ফলে কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় মব সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে নিকটবর্তী টাওয়ারের সিগন্যাল বিশ্লেষণের মাধ্যমে পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব।
রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘একটা ন্যাশনাল ডাটা অ্যানালিটিকস সেন্টার করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছিলাম, যেটার মাধ্যমে মানুষের মুভমেন্টটা কোথায় বেশি হচ্ছে, সেটা কিন্তু এখন প্রযুক্তির সহযোগিতায় বের করা সম্ভব।’
আর এই তথ্য অপারেটরদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরবরাহের অনুরোধ করেছে সরকার। এ বিষয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন,
মব যেখানে তৈরি হয়, সেখানকার ডাটা বিশ্লেষণ করে পুলিশকে কীভাবে যুক্ত করা যায়, এ ব্যাপারে আমরা প্রাথমিক আলোচনা শুরু করেছি।
এরইমধ্যে এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোবাইল অপারেটররা বলছে, জাতীয় স্বার্থে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তারা।
গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর মোহাম্মদ বলেন, ‘এখনও আমরা ওভাবে অনুরোধটা পাইনি। তবে অনুরোধ পেলে করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘নিরাপত্তার কোনো চাহিদা যদি আমাদের প্রযুক্তির মধ্যে থাকে, তবে অবশ্যই আমরা সরকারকে সহযোগিতা করবো।’
বর্তমানে সাড়ে ১৮ কোটির বেশি গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে চার মোবাইল অপারেটর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।