বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: আমেরিকার ধনকুবের ইলন মাস্ক। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিও তিনিই। মহাকাশ সংস্থা স্পেস-এক্স এবং অত্যাধুনিক গাড়ি সংস্থা টেসলার জন্য তিনি সারা বছরই চর্চায় থাকেন। সম্প্রতি মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের মালিকানা কিনে তিনি বিশ্ববাসীর নজর কাড়ার পাশাপাশি আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন।
৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে টুইটারের একক মালিকানা পেয়েছেন ইলন মাস্ক। টুইট করে কোকা-কোলা সংস্থা কিনে নেওয়ার ‘হুমকি’ও দিয়েছেন তিনি।
অনেকের মতেই টাকার শেষ নেই মাস্কের। আর সেই কারণে এত টাকা নিয়ে কী করবেন তা বুঝতে না পেরে তিনি এই সব কাণ্ড ঘটাচ্ছেন।
টুইটার কেনা ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চর্চায় থেকেছেন তিনি। তার মধ্যে একটি হল, ঘন ঘন নিজের মোবাইল ফোন বদলানোর অভ্যাস। প্রতি ছয় মাস অন্তর নিজের মোবাইল ফোন বদলান বিশ্বের এই শীর্ষ ধনী।
কিন্তু কেনো কিছুদিন যেতে না যেতেই নিজের মুঠোফোন বদলান মাস্ক?
স্পেস-এক্স সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তার কারণেই নিয়মিতভাবে মোবাইল ফোন বদলান তিনি। তবে পৃথিবীর সবচেয়ে বিত্তবান ব্যক্তি হওয়ার আগে থেকেই নিজের ফোন বদলানোর এই অভ্যাস রয়েছে তার।
স্পেস-এক্স সূত্রে আরও জানা গেছে, বেসরকারি মহাকাশ সংস্থার মালিক হওয়ার সুবাদে তার ফোনে একাধিক গোপন তথ্য থাকে। পাশাপাশি অনেক আর্থিক লেনদেনও মোবাইলের মাধ্যমেই করেন তিনি। উন্নত প্রযুক্তির যুগে ফোন হ্যাক করে গোপন তথ্য চুরি করা বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য জেনে নেওয়া এখন খুবই সহজ। তাই তথ্য নিরাপদে রাখার জন্যই নিজের মোবাইল ফোন বার বার বদলান মাস্ক।
মাস্কের আইনজীবী বন্ধু অ্যালেক্স স্পিরো একবার বলেছিলেন, “অন্যান্য অনেক মানুষের মতোই ইলন তার ফোন বার বার বদলান। ফোনের মধ্যে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল তথ্যের নিরাপত্তার খাতিরেই তিনি কিছু দিন অন্তর মোবাইল বদলে ফেলেন।”
অনেকে আবার মনে করেন, নিজে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকার কারণেই মোবাইলসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রের প্রতি তার বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। আর তাই শখ পূরণ করতে বাজারে আসা নতুন নতুন মোবাইল কিনে নেন মাস্ক।
জানা গেছে, নতুন ফোন কেনার পর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ইলন মাস্ক নিজের পুরনো ফোনটি নষ্ট করে ফেলেন। আবার অনেক সময় এই ফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করে নিয়ে তা সংরক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়।
তবে অনেকের মতে, মাস্কের কাছে তার সমস্ত ফোনের ছবি রাখা রয়েছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে তিনি ছবি সংগ্রহ করে রেখেছেন এবং এর সত্যতা নিয়ে এখনও রয়েছে গেছে ধোঁয়াশা।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, আনন্দবাজার পত্রিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।