নিজস্ব প্রতিবেদক: পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ থাকার পরেও পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেড়েছে চালের দাম। হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে পবায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার ভেড়াপুড়া এলাকায় নাবিল অটোরাইস মিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এসময় ধান-চাল সঠিকভাবে খোলাবাজারে বিক্রি নিশ্চিত করতে পবা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার এ অভিযান পরিচালনা করেন।
তবে কোন ধরণের অসংগতি না থাকায় কৃত্রিম সংকট তৈরি না করার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
জানা গেছে, মিলের খাদ্য বিভাগের প্রদেয় লাইসেন্স অনুযায়ী এখানে ১৫ দিনব্যাপি সাড়ে ২৮ মে.টন চাল মজুত করা যাবে। শনিবার মিলে মজুত ছিলো প্রায় ৫০০ মে.টন চাল ও ২ হাজার মে.টন ধান। এবারে নাবিল চালকল ৪৯০ মে.টন চাল বরাদ্দ পেলেও এর দ্বিগুন চাল সরবরাহ করেছে।
এছাড়াও বিগত সময়ে আপদ কালীনসহ প্রতি মৌসুমেই সরকারি বরাদ্দের অনেক বেশী চাল সরকারকে সরবরাহ করেছে এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে অবদান রেখে চলেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিত সরকার জানান, ‘মজুত বৃদ্ধি করে মিলার ও আড়তদাররা যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে নজর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি চাল উৎপাদনশীল অঞ্চলগুলোতে চাল মজুদ এবং অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বেনামে চাল মজুদের ব্যাপারেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়াও মিলে কোন অসংগতি না পেলে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করতে সতর্ক করা হচ্ছে। যারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করবে, তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক একেএম ফজলুল হক, নওহাটা এলএসডি (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম, পবা উপজেলা প্রেসক্লাব সহসভাপতি জাহিদ হাসান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক সরকার দুলাল মাহবুব প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।