জুমবাংলা ডেস্ক : মুঠোফোন রিচার্জে রিটেইলাররা গ্রাহকদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে রিচার্জের বা লোডের কার্ড বিক্রির সময় অতিরিক্ত এক থেকে দুই টাকা অনৈতিকভাবে আদায় করে যাচ্ছে। এ ধরনের অর্থ গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া নৈতিকতা বিরোধী বলে অভিযোগ করেছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার (২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে রিটেলারদের খুচরা না থাকা এবং জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায় এর প্রতিবাদ করে আসছিলাম। কিন্তু দিনদিন তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আগে এক টাকা নিলেও এখন কোন কোন গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত দুই টাকা ও নিচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় দেশে এই মুহূর্তে মোবাইল রিচার্জ এর জন্য রিটেলার রয়েছে প্রায় ৯ লাখ। ঘরে একজন রিটেলার দৈনিক প্রায় দুই থেকে তিন হাজার টাকা বিভিন্ন প্যাকেজ ও আই টপ এর মাধ্যমে খুচরা পর্যায়ে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন গ্রাহকের মাধ্যমে রিচার্জ করে থাকে। প্রতিবার রিচার্জ এর সময় একজন গ্রাহক ধরে নেয়া যাক একজন গ্রাহক ৩০ টাকা রিচার্জ করতে দিলেন, রিটেলার তাকে লোড দিবে ২৯ টাকা। এভাবে যদি আদায় করে তাহলে দৈনিক সবগুলো রিটেলার ন্যূনতম নয় লাখ টাকা অনৈতিক আদায় করে থাকে। যা মাসে গিয়ে দাঁড়ায় ২৭ কোটি এবং বছরে ৩২৪ কোটি টাকা প্রায়।
মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের ঢাকাসহ সারাদেশে কর্মীদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে ২শত রিটেলার ও২ শত গ্রাহকের কাছে জানতে চাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে রিটেলারদের দাবি কোম্পানি থেকে কম কমিশন পাওয়া, বর্তমানে বেশিরভাগ গ্রাহক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রিচার্জ করা, কোম্পানির অ্যাপস এর মাধ্যমে রিচার্জ করার কারণে আগের চাইতে ব্যবসা এখন অনেক কম হয়। তাছাড়া ভাংতি না থাকাও অন্যতম অজুহাত। গ্রাহকদের বক্তব্য হচ্ছে ভাংতি টাকা না থাকা এবং জোরপূর্বক রিটেলারদের আদায় করার জন্য অনেকদিন যাবত বহু ঝগড়া বিবাদ হয়েছে এখন আর করি না। আর কোম্পানিগুলি এমন প্যাকেজ দেয় সবগুলি বিজোড় সংখ্যা আর এই সুযোগটা নিচ্ছে রিটেলাররা।
এ ব্যাপারে সংগঠনের বক্তব্য দেন সভাপতি। তিনি বলেন, এ ধরনের অর্থ আদায় একটি আইন বিরোধী এবং অনৈতিক লেনদেন। এর বিরুদ্ধে কেবলমাত্র টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি ও টেলিকম অপারেটররা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। বিটিআরসি গঠন করা হয়েছে গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য। কিন্তু তারা গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছে। কেবলমাত্র ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার কারণে গ্রাহকরা সব দিক দিয়ে প্রতারিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,আজ গ্রামীণফোন এস এমপির শর্ত অনুসারে ২০ টাকার নিচে রিচার্জ না করা শর্ত দিয়েছে। এর মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকরা সমস্যায় পতিত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে রিটেলার রা এই ২০ টাকা রিচার্জ করার জন্য অতিরিক্ত দুই টাকা চাইতে পারে। তাই জনস্বার্থে এবং রাষ্ট্রের বিশাল অংকের অর্থ অপচয় এবং অনৈতিক লেনদেন বন্দে সরকার এবং কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।