বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : টেলিকম অপারেটরদের মোবাইল টাওয়ার সেবাদাতা ৪টি প্রতিষ্ঠান থাকলেও বাজারের ৯২ শতাংশই ইডটকোর দখলে। গত বছর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ইডটকোকে সিগনেফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার বা এসএমপি ঘোষণা করে ব্যবসা ২৫ শতাংশে সীমিত করে। অপারেটররা বলছে, এতে সেবার ব্যয়ে বাড়তে পারে। তার মাশুল গুনতে হবে গ্রাহককেই।
২০১৮ সালে ৪ টাওয়ার কোম্পানিকে লাইসেন্স দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এর মধ্যে শীর্ষ টাওয়ার কোম্পানি ইডটকো বাংলাদেশে এককভাবে ১২ হাজারের বেশি টাওয়ারের মালিক। এছাড়া, সামিট টাওয়ার্সের ৫৪৭টি, এবি হাইটেক কনসোর্টিয়ামের ৪০৬টি এবং কীর্ত্তনখোলার আছে ৯৭টি মোবাইল টাওয়ার।
বাজারে প্রতিযোগিতামূলক সেবা নিশ্চিত করতে গত বছরের শেষে ইডটকোকে এসএমপি ঘোষণা করা হয়। এ বিধানের কারণে, টেলিকম অপারেটররা সেবার ব্যয় বৃদ্ধি ও টাওয়ার তৈরিতে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ করছেন। তারা বলছেন, বাড়তি ব্যয়ে শেষ পর্যন্ত চাপবে গ্রাহককের কাঁধেই।
মোবাইল অপারেটর রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘এই টাওয়ার রেগুলেশনসটার বিষয়ে আমরা কাজ করেছি যাতে শেয়ারিংটা বাড়ানো যায়। কিন্তু শেয়ারিং বাড়ছে না। এখন প্রাইসিংয়ের ক্ষেত্রে একটা বড় পরিবর্তন আসছে। এখানে এসএসপি অপারেটর হয়তো আমাকে একটু চিপার প্রাইজে দিতে পারতো, নন এসএমপি অপারেটর হয়তো পারছে না।’
বিশ্লেষকরা জানান, একসাথে লাইসেন্স পেলেও তিনটি প্রতিষ্ঠান ব্যবসার প্রসার করতে পারেনি। আবারও তাদের সুযোগ দেয়ার আগে মোবাইল অপারেটর ও গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনায় নেয়া উচিত।
টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ টিআইএম নুরুল কবির, ‘লাইসেন্স পাওয়ার পর থেকে গ্রোথটা একটা দুটো কোম্পানি ছাড়া অন্যদের তেমন সিগনিফিকেন্ট গ্রোথ আমি দেখতে পাচ্ছি না। ভালভাবে যৌক্তিকভাবে এসএমপিটা করা উচিৎ ছিল। দেখা দরকার কেন অন্য কোম্পানিগুলো ব্যবসা করতে পারছে না।’
দেশে মোট ৪২ হাজারের বেশি টেলিকম টাওয়ারের মালিকানায় আছে টেলিকম অপারেটর ও টাওয়ার কোম্পানি। অপারেটররা নিজেদের মধ্যে টাওয়ার শেয়ার না করায়, বিটিআরসি টাওয়ার কোম্পানির লাইসেন্স চালু করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।