বর্তমানে ইন্টারনেট ইউজারদের মধ্যে অধিকাংশ মোবাইল থেকে নেট ইউজ করে। আগে যেসব কাজ ল্যাপটপ থেকে করা হতো এখন অনেক কাজই মোবাইল থেকে করা যায়। এমনকি কিছু এন্ড্রয়েড অ্যাপস ব্যবহার মোবাইল থেকে ভিডিও এডিটও করতে পারবেন। ছবির মতো ভিডিও আজকাল খুব কমন হয়ে গেছে, মোবাইল দিয়ে ভিডিও করে এপস ব্যবহার করে খুব সহজই এডিট করা যায়। অনেক Mobile video editing apps ব্যবহার করে প্রফেশনাল ভিডিও তৈরি করা যায়।
মোবাইলে ভিডিও এডিট করতে দামি এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না আপনি Google play store পছন্দ মতো একটি অ্যাপস ডাউনলোড করে ইউটিউব বা ফেসবুক ভিডিও এডিট করে প্রয়োজনীয় ফাংশন দিয়ে প্রফেশনাল লুক দিতে পারবেন ।
ভিডিও এডিটিং অ্যাপসগুলো ব্যবহার করে টেক্সট লিখা, background music দেয়া, thumbnail যোগ করা, headline যোগ করা, বিভিন্ন video effect ব্যবহার করা, ভিডিওর অংশ কাটা এবং আলাদা আলাদা ভিডিও একসাথে যোগ করা। এই ধরনের সব ফাংশনই আপনি Mobile Video Editing Apps দিয়ে আপনার মোবাইল থেকেই করতে পারবেন।
এন্ড্রয়েড মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা ৭ টি অ্যাপস
সবগুলো অ্যাপস Google play store থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন
১. FilmoraGo
FilmoraGo একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এবং অসাধারণ ক্ষমতা সূম্পর্ণ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।এই এপপ্স টি বহু ইউসার কে খুশি করতে সক্ষম হয়েছে।এখানে আপনি সমস্ত প্রাইমারি ফাঙ্কশন যেমন টাইটেল যোগ,কাঁটছাট করা,গান বা মিউজিক যুক্ত করা ইত্যাদি এই সব কাজ খুব সহজে করতে পারবেন।
আপনি এখানে ১:১ রেশিও ভিডিও Instagram এর জন্য এবং ১৬:৯ রেশিও ভিডিও Youtube এর জন্য বানাতে পারবেন।ভিডিও তে ট্রান্সিশনস, স্লো মোশন, টেক্সট ইত্যাদি যুক্ত করে ভিডিও র মান আরো সুন্দর করা হয়।
FilmoraGo অ্যাপস এর মধ্যে কিছু প্রো features আছে সেগুলো এপপ্স এর মধ্যে কিনতে হয়, তবে এর বেশিরভাগ features গুলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।আপনি ভিডিও এডিট করার পর গ্যালারি তে সেভ করতে পারেন অথবা ডাইরেক্ট কোনো সোসাল নেটওয়ার্কিং সাইট শেয়ার করতে পারেন।FilmoraGo বর্তমানে সেরা এন্ড্রয়েড মোবাইলে ভিডিও এডিটিং app বলা যেতে পারে।
এর একটি নেগিটিভ দিক হলো ভিডিওর শেষে একটি wordmak আসবে তবে আপনি উপগ্রড করে সেটি মুছে ফেলতে পারেন।
Special Features
- আপনি ক্লিপ্স এর রিয়ালটাইম প্রিভিউ দেখতে পাবেন।
- ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে ভিডিও বা ফটো ডাইরেক্ট ইম্পোর্ট করার সুবিধে আছে।
- টেম্প্লেটস এবং ইফেক্টস এর ব্যাপক কালেকশন আছে।
- এক ঝাক প্রফেশনাল টুল মুজুত রয়েছে।
২. Adobe Premiere Clip
Adobe prime clip আপনাকে আপনার android mobile থেকে video edit করার অনেক ভালো এবং quick service দেয়। এইটা অনেক ফাস্ট এবং ব্যবহার করে আপনার অনেক ভালো লাগবে। Premiere clip editor সম্পূর্ণ ফ্রি এবং এর দ্বারা আপনারা professional quality video তৈরি করতে পারবেন।
এর Automatic video creation ফাঙ্কশনের দ্বারা আপনারা যেকোনো ফটো বা ভিডিও ক্লিপ সিলেক্ট করে automatically ভিডিও এডিট করতে পারবেন। তাছাড়া, এর কিছু advanced এডিটিং টুলস ব্যবহার করে manually নিজের ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। Video cutting, trimming, transitions, adding music, filters, effects, photo motion আদি অনেক ধরণের অপশন আপনারা পাবেন।
এই android app ফ্রি এবং আপনারা একে Google play store থেকে download করে নিতে পারবেন। Download Adobe premiere clip
৩. PowerDirector
পাওয়ার ডিরেক্টর একটি অসাধারণ বৈশিষ্ট সূম্পর্ণ এন্ড্রোইড ভিডিও এডিটর।এর টাইমলাইনে ভিডিও এডিট করার ইন্টারফেস সহজ,কিন্তু এর আদি হতে হয়তো আপনাকে কিছু সময় লাগতে পারে।তবে আপনি যখন একজন এক্সপার্ট হয়েযাবেন এই এপপ্স এর, তখন কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রফেশনাল ভিডিও তৈরী করতে সক্ষম হবেন।
আপনি আপনার ভিডিও মধ্যে ৩০ টি আলাদা আলাদা এফেক্টস,ট্রান্সিশন চুষ করে তাতে সংযুক্ত করতে পারেন।এখানে স্পেশাল ফিচারস গুলির মধ্যে একটি slow mo video তৈরী করা যায়।
এই app এর সাহায্যে গ্রীন স্ক্রিন ভিডিও বানাতে পারেন, এখানে 1080p 4k video তে ভিডিও এক্সট্র্যাক্ট করা যায়।তবে এর বেশিরভাগ ফিচারস ফ্রি তবে এডস,watermark এবং 1080p 4k এক্সট্র্যাক্ট করতে হলে প্রিমিয়াম upgrad করতে হবে।
৪. VivaVideo – editor and photo movie
Viva video এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে ভিডিও তৈরি করার সেরা app হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। কিছু, বিখ্যাত android bloggers রা viva video app কে বেস্ট এবং সবচে ভালো video editing app হিসেবে প্রচার করেছেন। এই app ব্যবহার করে আপনারা নিজের মোবাইল থেকেই প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। কিছু দরকারি এডিটিং ফাঙ্কশন যেমন, ভিডিও কাটা এবং জোড়া দেয়া, trimming, merging, subtitle দেয়া, video effects এবং আরো অনেক এখানে আপনারা পাবেন।
viva video app ২০০ মিলিয়ন থেকে বেশি লোকেরা নিজের মোবাইল ফোনে ব্যবহার করছেন এবং একটি বেস্ট এন্ড্রয়েড ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
৫. Quik video editor
Quik android app একটি আলাদা রকমের মাধ্যম নিজের বানানো ভিডিও মোবাইলেই এডিট করার। এইটা অনেক ফাস্ট এবং পুরোটাই ফ্রি। আপনি নিজের মোবাইল গ্যালারি থেকে যেকোনো ফটো বা ভিডিও ক্লিপ বেঁচে নিয়ে তাকে এডিট করতে পারবেন। Quik দ্বারা আপনারা automatically যেকোনো ক্লিপ এডিট করতে পারবেন এর automatic video creation function দ্বারা। কিছু সাধারণ এডিটিং টুল যেমন, ভিডিও ক্রপ করা (crop), এফেক্টস (effects) লাগানো, টেক্সট ব্যবহার করা এবং আরো অনেক টুলস আপনারা এখানে পাবেন।
৬. Kinemaster – Pro
মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপ এর মধ্যে KineMaster হচ্ছে অতান্ত শক্তিশালী অ্যাপ। আপনি যেহেতু একজন স্মার্টফোন ইউজার সুতরাং আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি যে, আপনি কোনো না কোনো সময় kine master video editing software এর নাম শুনেছেন। এই মোবাইলে ভিডিও এডিটিং অ্যাপটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। একটি প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিট করার জন্য যে ফিচার কিংবা টুলস এর প্রয়োজন হয় তার সকল কিছু Kine Master অ্যাপের মধ্যে রয়েছে। আমার কাছে এই অ্যাপটির একটি বিষয় ভালো লাগছে সেটা হচ্ছে এটি অত্যন্ত ইউজার ফ্রেন্ডলি, আপনি ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ করে খুবই সহজে যেকোনো ধরনের মিডিয়া টাইপ ইম্পোর্ট করতে পারবেন। চলুন জেনে নেই কাইন মাস্টার অ্যাপের স্পেসিফিকেশন গুলো সম্পর্কে।
KineMaster অ্যাপের স্পেসিফিকেশন – ভিডিওর স্পীড দ্রুত এবং ধীরে করা, ভিডিও এডিট করা অবস্থাতে ভিডিও প্লে করার সুবিধে, ভিডিওর মাঝে বিভিন্ন ইফেক্ট অ্যাড করা, একাধিক ভিডিওর লেয়ার যুক্ত করা, ফ্রেম বাই ফ্রেম ভিডিও ট্রিমিং করে নেয়া, ভিডিওর মধ্যে বিভিন্ন স্টিকার যুক্ত করার সুবিধে, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যুক্ত করা, বিভিন্ন অ্যানিমেশন দেয়ার সুবিধে, অডিও ফিল্টার যুক্ত করা, এডিট করা ভিডিও সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে শেয়ার করার সুবিধে। উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও আরো অনেক ফিচারস আছে, যেগুলাে আপনি কাইন মাস্টার (KineMaster) অ্যাপ ব্যবহার করে নিতে পারবেন।
৭. Magisto – editor & slideshow maker
Magisto একটি award winning ফ্রি এডিটর app. এর ব্যবহার করে কেবল ৩ টি স্টেপ এই আপনারা আকর্ষিত প্রফেশনাল ভিডিও বানিয়ে নিতে পারবেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য। প্রায় ১০০ মিলিয়ন লোকেরা এই app নিজের মোবাইলে ইনস্টল করেছেন। AI ফাঙ্কশন ব্যবহার করে আপনারা automatically কিছু না করেই ভিডিও বানিয়ে নিতে পারবেন। কিন্তু, আগে আপনার একটি ভিডিও বা ফটো নিজের মোবাইল থেকে বেঁচে নিতে হবে। তারপর, একটি ভিডিও স্টাইল (video style) বেছেনিতে হবে। এর পর সবটাই নিজে নিজে হয়ে যাবে।
উপরে উল্লেখিত যেকোন অ্যাপস ডাউনলোড করে বা কয়েকটি Mobile Video Editing Apps ইন্সটল করে টেস্ট করতে পারেন কোনটা আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো। এপসগুলো ফ্রীতেই ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু কিছু অ্যাপস হয়তো পেইড প্রিমিয়াম ভার্সন আছে, চাইলে পেইড ভার্সন নিয়ে আরও ভালো কিছু ফিচার পেতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।