জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফের জিম্বংখালী সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে থেমে থেমে রাত আড়াইটা পর্যন্ত বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠে টেকনাফের গোটা সীমান্ত এলাকা।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্ত শান্ত ছিল।
স্থানীয় লোকজন বলেন, বিজিবির জিম্বংখালী বিওপির বিপরীতে অন্তত দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের জিবিং অং এবং হারিংগাচরের মারিক্কমপাড়া এলাকায় এসব বিস্ফোরণ হয়। উনচিপ্রাং এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, মধ্যরাতে হঠাৎ গুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের কারণে ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে। আমরা খুবই আতঙ্কে আছি।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, হোয়াইক্যংয়ের উনচিপ্রাং সীমান্তের ওপারে রাতে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে। এতে সীমান্তের পাশের গ্রামগুলো কেঁপে ওঠে।
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, হ্নীলার কাস্টমস সীমান্তে ব্যাপক মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আশপাশের গ্রামগুলো কেঁপে ওঠে।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, উখিয়ার সীমান্ত শান্ত রয়েছে।
গত শনিবার রাত ৩টা থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিজিপির তুমব্রু রাইট ক্যাম্প দখল করতে আক্রমণ শুরু করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি। এই সংঘর্ষে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, শুল্ক ও বিভিন্ন সংস্থার ৩৩০ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।