জুমবাংলা ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সোমবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন।
তবে ওই ফ্লাইটে পূর্বনির্ধারিত দায়িত্বে থাকলেও শেষ মুহূর্তে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দুই কেবিন ক্রুকে। তারা হলেন— আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলাম বিপোন।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও নিরাপত্তা শঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে বিজি ২০২ ফ্লাইটটি। এ ফ্লাইটেই থাকবেন খালেদা জিয়া, তার পরিবারের সদস্য এবং বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
আগামী সফরের জন্য বিমানের ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগের সংশ্লিষ্ট ইউনিট শুক্রবার (২ মে) দুপুরে চূড়ান্ত করে ফ্লাইট পার্সার ও চিফ পার্সারদের তালিকা। তালিকায় ছিলেন—চিফ পার্সার নিশি, ফ্লাইট পার্সার আল কুবরুন নাহার কসমিক, মো. কামরুল ইসলাম বিপোন এবং জুনিয়র পার্সার রিফাজ।
তবে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে কসমিক ও বিপোনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং ভিআইপি যাত্রীর নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকার বিষয়টি উঠে আসায় মধ্যরাতে তাৎক্ষণিকভাবে এই দুইজনকে ফ্লাইট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পরিবর্তিত ক্রু তালিকা
ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, পরিবর্তিত তালিকায় কসমিক ও বিপোনের স্থলে শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট পার্সার ডিউক এবং ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আনহারা মারজানকে যুক্ত করা হয়েছে।
কসমিক ও বিপোনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ
বিমান সূত্র জানায়, আল কুবরুন নাহার কসমিক অতীতে নিয়মিতভাবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ফ্লাইট পরিচালনা করতেন। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে সরকারি সুবিধা ভোগের অভিযোগ রয়েছে। চাকরি জীবনে তিনি ১৮ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন এবং একাধিকবার শাস্তিস্বরূপ গ্রাউন্ডেড হয়েছেন।
অন্যদিকে জুনিয়র পার্সার মো. কামরুল ইসলাম বিপোন দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রতি বছর ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ফুল দেওয়ার আয়োজনে অংশ নেন, শেখ কামালের জন্মদিনে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজক ছিলেন এবং বিমানে শেখ রাসেল দিবস পালনেও তিনি অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন।
বিমানের অবস্থান
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম বলেন, “তাদের সরানো হয়েছে—এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। বিমানের সংশ্লিষ্ট বিভাগ নানা কারণে কাউকে ডিউটি না দিতে পারে, রিশিডিউল হতে পারে। এটি খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।