আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে গত কিছুদিন ধরেই সহিংস বিক্ষোভ চলছে। মূলত কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ চলাকালে দুই গোষ্ঠীই রকেট ও ড্রোনের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করছে। প্রশ্ন উঠেছে মেইতেই ও কুকিরা ড্রোন ও রকেট লঞ্চারের মতো সমরাস্ত্র পাচ্ছে কোথায় থেকে?
দুই গোষ্ঠীর হাতেই দেখা যাচ্ছে আমেরিকা, জার্মানি, চীন ও রাশিয়ার অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের। তবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এক সংস্থার দাবি, মণিপুরে বহুল ব্যবহৃত অস্ত্রের বেশিরভাগই চীন ও রাশিয়ার তৈরি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে ও হিন্দুস্তান টাইমসের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এ তথ্য।
কুকি ও মেইতে সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে গত বছরের মে থেকে উত্তপ্ত ভারতের মণিপুর। দফায় দফায় সংঘর্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরও মণিপুরের পরিস্থিতি বেসামাল।
নতুন করে দুই সম্প্রদায়ের ছড়ানো সংঘর্ষে শঙ্কিত ভারত সরকার। দুই পক্ষের হাতেই দেখা যাচ্ছে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র। অস্থিতিশীলতার সুযোগে মণিপুরের বেশ কয়েকটি পুলিশ স্টেশন থেকে লুট হয় অন্তত ৪ হাজার অস্ত্র। ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ ও সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এসব অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ এখন কুকি ও মেইতে সম্প্রদায়ের হাতে।
এছাড়া, দুই সম্প্রদায়ের অস্ত্র ভাণ্ডারে আছে জার্মানির হেকলার অ্যান্ড কোচ, আমেরিকার কোল্ট এ-আর-ফিফটিন, এম-সিক্সটিন, এম-ফোর-এ-ওয়ান এবং চীনা এ-কে-ফিফটি সিক্স রাইফেল। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এসব সমরাস্ত্রের খোঁজ পেয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
শুধু স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নয়, এদের অস্ত্র ভাণ্ডারে আছে বিধ্বংসী বোমা, ড্রোন, হ্যান্ড গ্রেনেড, রকেট লঞ্চার, মর্টার শেল ও ট্যাংক বিধ্বংসী নানা অস্ত্র। প্রশ্ন উঠেছে, দুটো বেসামরিক গোষ্ঠীর কাছে এসব সমরাস্ত্র গেলো কীভাবে।
কুকি ও মেইতে সম্প্রদায়ের অস্ত্র পর্যালোচনা করেছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক কালেক্টিভ অ্যাওয়ারনেস টু আনএক্সপ্লোডেড অর্ডন্যান্স নামের একটি সংস্থা। তাদের দাবি, কুকি ও মেইতেদের বহুল ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো চীন ও রাশিয়ার তৈরি।
সীমান্ত নিয়ে চীন-ভারতের সম্পর্ক বৈরী হলেও, মস্কোর সাথে দিল্লির সম্পর্ক বেশ উন্নত। তবে যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিভিন্ন রাষ্ট্র বরাবরই বেইজিং ও মস্কো বিরোধী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।