আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে যাচ্ছেন তারই ভাই প্রহ্লাদ দামোদর দাস মোদি। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রহ্লাদ মোদি জানিয়েছেন, রেশনিংয়ের ক্ষেত্রে সবার জন্য বিনামূল্যে খাবার সারাদেশের রেশন ব্যবস্থার আদর্শ হওয়া উচিত। দেশের বেহাল রেশন ব্যবস্থা নিয়ে সরব হলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে সংগঠনের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসুর বলেন ডিলারদের কমিশন বৃদ্ধি, খাদ্য তেল, ডাল, রান্নার গ্যাস ভর্তুকি মূল্য রেশনিং-এর মাধ্যমে সরবরাহের ব্যবস্থাসহ একাধিক দাবিতে আগামী ২ আগস্ট রামলীলা ময়দান থেকে ১৫ লাখ রেশন ডিলার এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা সংসদ ভবন ঘেরাও করবেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তারা তাদের দাবির স্মারকলিপি তুলে দেবেন।
দীর্ঘদিন ধরে রেশন ডিলাররা তাদের কমিশন বাড়ানোর জন্য আবেদন করছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ে। তাদের দাবি, প্রতি কুইন্টাল ৪৪০ রুপি কমিশন দিতে হবে রেশন ডিলারদের। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিলেও সে অনুযায়ী বাড়ানো হয়নি কমিশন। যেখানে আন্তর্জাতিক স্তরে ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম রেশন ডিলারদের কমিশন কেজি প্রতি ৪ রুপি ৫৭ পয়সা প্রদানের সুপারিশ করেছে, সেখানে কেজি প্রতি মাত্র ৯০ পয়সা নির্ধারণ করেছে ভারত সরকার।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভাই প্রহ্লাদ মোদি বলেন, আমি নিজে একজন রেশন ডিলার। আমি খুব ভালোভাবে বুঝি রেশন ডিলারদের সমস্যা। নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন এই বিষয়ে আমরা আমাদের বক্তব্য তার কাছে পেশ করেছিলাম। তিনি আমাদের দাবি মত সেই সময় বেশ কিছু সংশোধনীও এনেছিলেন। আমরা আশা করছি আমাদের সংসদ ঘেরাও অভিযানের পর এবার নড়েচড়ে বসবে সরকার।
বর্ষা অধিবেশনের সময় সংসদ ঘেরাও অভিযান নিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশ্বম্ভর বসু বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দিল্লির প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি ঘরে বিনা পয়সায় রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়ার সুবন্দোবস্ত করেছেন। আমরা চাই সারা ভারতের মানুষ এভাবেই রেশন পান। আমরা চাই, এই ভয়ংকর মূল্যবৃদ্ধিতে গরিব এবং মধ্যবিত্তদের বাঁচিয়ে রাখতে রেশনের চাল, গমের সাথে, ডাল, ভোজ্য তেল এবং এলপিজি সিলিন্ডার দেওয়া হোক ভর্তুকি মূল্যে। কিন্তু সরকার আমাদের ডিলারদের কমিশন বৃদ্ধিসহ এই সকল দীর্ঘদিনের দাবিতে কোনভাবেই কর্ণপাত করছে না। এ কারণে বাধ্য হয়ে আমরা এবার আন্দোলনের পথে যাচ্ছি। আগামী ৪ জুলাই প্রত্যেকটি ব্লক স্তরের ১১ জুলাই মহাকুমা স্তরে এবং ১৮ জুলাই প্রত্যেক রাজ্যের রাজধানীতে আমরা আন্দোলন করবো। এরপর ২ আগস্ট বর্ষা অধিবেশনের সময় দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে বিশাল মিছিল বের করে আমরা সংসদে অভিযানের পরিকল্পনা করেছি। এতে যোগ দেবেন সারা ভারত থেকে রেশনিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ১৫ লাখ মানুষ’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।