আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বৈঠক বয়কট করে বের হয়ে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার (২৭ জুলাই) দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে রাষ্ট্রপতি ভবনে নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে বের হন তিনি।
বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই বেরিয়ে এসে মমতা বলেন, আমাকে পাঁচ মিনিটও বলতে দেয়া হয়নি। মাইক বন্ধ করে আমাকে অপমান করা হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
শনিবার সকালে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ৭ মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বৈঠক বয়কট করলেও পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে এসে তিনি বলেন, অন্যদের ২০ মিনিটের বেশি বলার সুযোগ দেয়া হলেও আমাকে পাঁচ মিনিটও বলতে দেয়া হয়নি। তার আগেই মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই বঞ্চনার প্রতিবাদে আমি বৈঠক ছেড়ে চলে এসেছি।
এই ঘটনাকে সরাসরি ‘অপমান’ বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা। তিনি বলেন, বিরোধীদের মধ্যে একমাত্র আমিই বৈঠকে হাজির হয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে বলতে দেয়া হলো না। আমি আরো কিছু বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই মাইক বন্ধ করে অপমান করা হল।
প্রসঙ্গত, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ৮ মুখ্যমন্ত্রী শনিবারের বৈঠকে গণহাজির থাকলেও মমতা শনিবারের বৈঠক যোগ দিয়েছিলেন। মমতা জানিয়েছেন, এরপর এ ধরনের আর কোনো বৈঠকে তিনি থাকবেন না।
কংগ্রেস শাসিত তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া, তেলঙ্গানার রেবন্ত রেড্ডি, হিমাচল প্রদেশের সুখবিন্দর সিংহ সুখু আগেই কেন্দ্রীয় বাজেটে বঞ্চনায় প্রতিবাদে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের ঘোষণা করেছিলেন। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির নেতা ভগবন্ত মান, সিপিএম নেতা কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও বৈঠক বয়কট করেন একই অভিযোগে।
আর নয় চাকুরি অথবা ব্যবসা, এই গাছ চাষ করুন আর হয়ে যান কোটিপতি
অতীতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী একাধিকবার লোকসভায় তার মাইক বন্ধের অভিযোগ তুলেছেন। এবার অঙ্গরাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকেও নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মাইক বন্ধ করে বিরোধীদের ‘কণ্ঠরোধ’-এর অভিযোগ উঠল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।