আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নরেন্দ্র মোদি আজ রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। এবারেই মোদি মন্ত্রীসভায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মন্ত্রী শপথ নিতে চলেছেন। মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পেতে চলেছে প্রায় ৬০-৭০ জন মন্ত্রী। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিহার।
মোদি আগের দুইবার বিজেপিকে নিয়ে এককভাবে সরকার গঠন করলেও এবার তাকে ‘এনডিএ’-কে নিয়ে জোট সরকার গঠন করতে হচ্ছে। তার জোটের প্রধান দুই দল হলো তেলেগু দেশাম পার্টি (টিডিপি) এবং বিহারের জনতা দল (ইউনাইটেড)। দলগুলো সদ্যই শেষ হওয়া লোকসভার নির্বাচনে যথাক্রমে ১৬ এবং ১২টি আসনে জয় পেয়েছে। যা মোদিকে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী বানাতে বড় ভূমিকা রেখেছে। ফলে শরিক দলগুলোকে মন্ত্রীসভায় জায়গা দিতে হচ্ছে তাকে।
রোববার নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে যারা শপথ নেবেন- তাদের এদিন সকাল সাড়ে ১১টায় মোদির বাসভবনে চা চক্রে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে রয়েছে বড় চমক। মন্ত্রিত্ব পেতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মন্ত্রিত্বের তালিকায় থাকছেন শান্তনু ঠাকুরও।
জেডিইউ থেকে লালন সিং ও রামনাথ ঠাকুর মন্ত্রী হতে পারেন। তাদেরও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য বলা হয়েছে। মোদি মন্ত্রীসভার মন্ত্রী হতে চলেছেন প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। শিবসেনা থেকে প্রতাপ রাও যাদবও ইতিমধ্যেই ডাক পেয়েছেন। যাদব তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জিতেছেন। অশ্বিনী বৈষ্ণবকেও শপথ গ্রহণের জন্য ডাকা হয়েছে। বৈষ্ণব লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তিনি রেল ও আইটি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন।
জানা গেছে, নীতিন গড়করি, পীযূষ গোয়েল, রাজনাথ সিং এবং অমিত শাহ মোদী মন্ত্রিসভায় ফিরছেন। এর বাইরে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরকেও ডাকা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজেপির হাতেই থাকবে। রাও ইন্দ্রজিৎকেও শপথ নিতে বলা হয়েছে। টিডিপি থেকে মোহন রাম নাইডু এবং চন্দ্রশেখর পাম্মানি মন্ত্রী হতে পারেন। জি কিষাণ রেড্ডোকেও শপথের জন্য ডাকা হয়েছে। বিগত সরকারেও তিনি মন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকেও ডাকা হয়েছে। মোদি সরকারের বেসামরিক বিমানপরিবহন মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান মধ্যপ্রদেশের বিদিশা লোকসভা আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী প্রতাপ ভানু শর্মাকে ৮ লাখেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন। শিবরাজ সিং ১১ লাখের বেশি ভোট পেয়েছেন। বিদিশা থেকে এটি তার ৬ষ্ঠ জয়। তিনবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর মোদী মন্ত্রী সভায় এবার স্থান পেতে চলেছেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি ভিডি শর্মাও সম্ভাব্য মন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছেন। এছাড়াও হরদীপ সিং পুরীকেও ডাকা হয়েছে আজকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে।
আজ মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ৩০ জন মন্ত্রী শপথ নেবেন। পূর্ণ মন্ত্রীসভা আজই শপথ নিচ্ছে না। ৪৫ মিনিটের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টা বেজে ১৫ মিনিটে। শেষ হবে ৮টায়।
এক নজরে সম্ভাব্য মন্ত্রীপরিষদ-
কিঞ্জরাপু রাম মোহন নাইডু-(টিডিপি), চন্দ্র শেখর পেমমাসানি-(টিডিপি), প্রতাপরাও যাদব- (শিবসেনা), রামনাথ ঠাকুর জেডি (ইউ), এইচ ডি কুমারস্বামী জেডি (এস), অর্জুন রাম মেঘওয়াল (বিজেপি), সর্বানন্দ সোনোয়াল (বিজেপি), জিতন রাম মাঞ্জি (হাম), সুরেশ গোপী (বিজেপি), হরদীপ সিং পুরী (বিজেপি), রবনীত সিং বিট্টু (বিজেপি)
নিতিন গড়করি (বিজেপি), পীযূষ গোয়াল (বিজেপি), রামদাস আঠাওয়ালে আরপিআই (এ), রক্ষা খড়সে (বিজেপি), ধর্মেন্দ্র প্রধান (বিজেপি), প্রহ্লাদ যোশী (বিজেপি), সঞ্জয় কুমার (বিজেপি ), হর্ষ মালহোত্রা (বিজেপি), শ্রীপাদ নায়েক (বিজেপি), অজয় তমতা (বিজেপি), এস জয়শঙ্কর (বিজেপি ), মনসুখ মান্ডব্য (বিজেপি), অশ্বিনী বৈষ্ণব (বিজেপি),
নির্মলা সীতারমন (বিজেপি), জিতেন্দ্র সিং (বিজেপি), শিবরাজ সিং চৌহান (বিজেপি), চিরাগ পাসওয়ান এলজেপি (আরভি), রাজনাথ সিং (বিজেপি), জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (বিজেপি), কিরেন রিজিজু (বিজেপি), গিরিরাজ সিং (বিজেপি), জয়ন্ত চৌধুরী (আরএলডি), আন্নামালাই (বিজেপি),
মনোহর লাল খট্টর (বিজেপি), জি কিশান রেড্ডি (বিজেপি), চন্দ্রশেখর চৌধুরী (এজেএসইউ), জিতিন প্রসাদ (বিজেপি), পঙ্কজ চৌধুরী (বিজেপি), বিএল ভার্মা (জেডিইউ), লালন সিং (এডি), অনুপ্রিয়া প্যাটেল (বিজেপি), অন্নপূর্ণা দেবী (বিজেপি), কমলজিৎ সেহরাওয়াত (বিজেপি), রাও ইন্দ্রজিৎ সিং (বিজেপি)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।